ডেক্স রিপোর্টঃ এ সাপ যদি এখন কাউকে কামড় দেয় তবে ভয়ে এমনিতে মারা যাবে, শুধু শুধু ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার কোনো কারণ দেখছি না।
সঠিক সময়ে এন্টিভেনম দিলে রোগী বাঁচবে তবে যেই জায়গায় কামড় দিয়েছে সেই জায়গাতে পচন ধরে বেশি দেরি হলে। আর রাসেল ভাইপার দূর থেকে কামড় দিতে আসে না। মানুষ এদের বেশি উত্যক্ত করলে এরা আগে প্রেশারকুকারের সিটির মত আওয়াজ করে মানুষকে সাবধান করতে থাকে। আর রাসেল ভাইপারের বিষ ৫/৬ ধরনের হয়না. এদের বিষ একধরনেরই আর সেটা হচ্ছে "হিমোটক্সিন" (হিমোটক্সিন লোহিত রক্তকণিকাকে ধ্বংস করে দেয়)। বিষয়টি হলো রাসেল ভাইপার বাংলাদেশে নতুন কোনও সাপ নয়, এটি আগেও ছিল, এখনও আছে। হয়তো বংশ বিস্তার করে সংখ্যায় বেড়ে গেছে।
একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো বিষাক্ত সাপ কামড় দিলেও অনেক সময় বিষক্রিয়া নাও হতে পারে। যেমন রাসেল ভাইপার এর কামড়ে শতকরা ৫০ জনের কোনও বিষক্রিয়া দেখা যায় না। আর কোবরার কামড়ে শতকরা ৩০ জনের ই বিষক্রিয়া দেখা যায় না। মূলত কোনো সাপের এন্টিভেনমই বাংলাদেশে নাই. সবগুলো ভারত থেকে আনতে হয়।
আর ভারতে সাধারণত সাপে কাটার পর যেই এন্টিভেনমটা দেওয়া হয় রাসেলস ভাইপার সাপে কামড় দিলেও সেটাই দেওয়া হয় সুতরাং এই সাপের এন্টিভেনম বাংলাদেশে আছে, আর ধরেন এখন কাউকে রাসেলস ভাইপার কামড় দিলে সে হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতে বসে বসে মৃত্যুর অপেক্ষা করতে থাকলো কারন সে পোস্টে দেখেছে এই সাপে কামড় দিলে মানুষ বাঁচে না এবং এই সাপের এন্টিভেনমও নাই. তাই শুধু শুধু হাসপাতালে গিয়ে ওর কাজ নাই.. পরবর্তীতে এই রোগীটা বাড়িতে থেকে মারা গেলে এই মৃত্যুর জন্য দায়ী কে থাকবে?? নিশ্চয় আপনারা যারা এই রকম মিথ্যে তথ্য দিয়ে গণহারে পোস্ট করতেছেন। তবে দেশে রাসেল ভাইপার সাপে কামড়ে সুস্থ হওয়ার রেকর্ড অহরহ, দরকার হলো সতর্ককরণ। আর সাপ বেড়ে যাওয়ার কারন আমরাই, ইকোসিস্টেম এর সাপ খেকো বেঁজি, শিয়াল, পেঁচা, কচ্ছপ এগুলো ধ্বংস করে ফেলেছি, এবং অহরহ ধ্বংস করছি।
কেসিআর/২৪