চুনারুঘাট প্রতিনিধি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা একটি চা বাগান অধ্যূসিত জনপথ। অত্র উপজেলায় প্রায় সতেরটি চা বাগান অবস্থিত। এবং এর প্রায় বাগানগুলোই বর্ডারের সাথে সংযুক্ত হওয়ায় সীমান্তের অবৈধ লেনদেনগুলো ওই বাগান দিয়েই হয়ে থাকে। একটা সময় ছিলো বর্ডার ব্যবসায়িরা বস্তির লোকদেরকে টাকা দিয়ে বর্ডারে পাঠালে ৮০% বাঙালি টাকা মেরে দিতো। তারপর থেকে আস্তে আস্তে ব্যবসায়িরা চা শ্রমিকদের হাতে টাকা দিয়ে বর্ডারের লেনদেন করা শুরু করে।
একপর্যায়ে এসে এই চা শ্রমিক নিজেরাই টাকা লেনদেন করা শিখে যায়। বর্তমানে চুনারুঘাটের চা বাগানসমূহের ৪০% চা শ্রমিক সন্তান গাঁজা ব্যবসায় জড়িত। কেও গাঁজার বস্তা মজুদ করছে, কেও আবার এই বস্তা কেরিং করে আশে পাশের চিহ্নিত এলাকায় পৌছে দিচ্ছে। খোঁজ নিলে দেখবেন মাদক মামলায় বর্তমানে চা শ্রমিকরাই গ্রেফতার হচ্ছে বেশি। আমু ও নালুয়া চা বাগানের রতন মহালী, প্রশান্ত কৈরি, পলাশ উরাং, স্বপন তাতীঁ প্রমুখরা গাঁজা মামলায় হাজত বাস পর্যন্ত করে আসছে।
এরকম অসংখ্য চা শ্রমিক সন্তান অত্যাধিক টাকা উপার্জনের লোভে এখন অবৈধ মাদকব্যবসাকেই বেছে নিয়েছে!
কে সিআর/২৪