আলতাফ হোসেন, পটুয়াখালি প্রতিনিধ◾ পটুয়াখালি উপজেলার পাতাবুনিয়া প্রামের বাসিন্দা মনোয়ার বেগম অত্যন্ত গরীব ও পেশায় একজন ভিক্ষুক। এলাকায় ভিক্ষা করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন। তার বসবাসের তেমন কোন ঘর নাই। পলিথিন মুড়ানো ছাপরায় কোন রকম থাকেন।
মনোয়ারা বেগমের আইডি কার্ডে বর্তমান বয়স ৫৭ বছর হওয়ায় তিনি বয়স্ক ভাতা থেকেও বঞ্চিত। এবং সরকারি ঘরও তার ভাগ্যে জুটেনি।
মনোয়ারা বেগমের সাথে স্বাক্ষাত করতে গেলে কালনেত্র প্রতিনিধিকে আক্ষেপ করে বলেন, "আমার মাথার চুল গেছে পরে, মুখে দাঁত নাই, আর আমার নাকি বয়স হয় নাই"! গরীব, অসহায় মনোয়ারা ও তার স্বামী বৃদ্ধ হয়ে পড়ায় মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে ঠিকমত ভিক্ষাও করতে পারেন না।
কদিন আগেও অসুস্থ হয়ে একলোকের কাছ থেকে সুদে ৬০০০/- টাকা নিয়ে চিকিৎসা করান ও ঔষধ বাবদ খরচ করে কোনরকম সুস্থ্য হয়ে উঠেন, যদিও বার্ধ্যক্য কখনো চিকিৎসা ও ঔষধে সাড়ে না। তবে ঋণের টাকার সুদ ঠিকই দিতে হবে। পরিশোধের সামর্থ থাক বা নাথাক! অথচ টাকার অভাবে নড়বরে কুড়ে ঘরটার মেরামত করাই সম্ভব হচ্ছেনা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ রেজাউল হোসেন বলেন, তার আইডি কার্ডে বয়স কম থাকায় বয়স্ক ভাতার তালিকায় নাম দিতে পারি নাই।
স্থানীয়দের দাবী- এই অসহায় মহিলা দম্পতির দূর্দিনে দূর্ভোগ লাঘবের জন্য জনপ্রতিনিধি ও এলাকার স্বাবলম্বীরা এগিয়ে আসলেই এই অসহায় বৃদ্ধ দম্পতির শেষজীবনটা অন্তত মানুষের মনুষত্ব ও মানবিক সমাজ স্বাদ নিয়ে মরে শান্তি পেতেন।
আমাদের প্রতিনিধি আলতাফ হোসেন বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগমের স্বাক্ষাতে গিয়ে এলাকার স্থানীয়দের এগিয়ে আসার এবং সহোযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দেয়ার উদাত্ত আহ্বান জানান।
কে-সিআর/২৪