নিজস্ব প্রতিবেদক ◾ স্বৈরাচারি শেখ হাসিনা সরকারকে হটিয়ে দিয়েছে শিক্ষার্থী-জনতার গণঅভ্যুত্থান। এখন দেশটাকে সকলে মিলে গড়তে হবে। দেশে এখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই হচ্ছে সকলের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব বলে মনে করেন দৈনিক কালনেত্র পত্রিকার উপদেষ্টা জনাব জিএম কুটি।
এক দফার আন্দোলনে শরিক হওয়া প্রত্যেকটি ছাত্র-জনতাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। এই গণআন্দোলন চেয়েছে এই রাষ্ট্র হবে জনগণের জন্য বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ, মর্যাদাপূর্ণ নতুন বাংলাদেশ। সেই আকাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। বিক্ষুব্ধতা বা ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে দেশের কোনো সম্পদ বিনষ্ট করা না হয় এবং কোনোভাবেই ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট না হয়, কোনো উপাসনালয় যাতে হামলার শিকার না হয় সেজন্য সকলকে সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশজুড়ে অনেক সন্ত্রাস সহিংসতার ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে। নানা দিক থেকে এসে ঘাপটি মেরে বসে থাকা সন্ত্রাসীরা সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি লুটপাট করেছে, মন্দিরে হামলা করেছে এবং অনেক সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর হয়েছে; এর ফলে অনেকে হতাহত হয়েছে। এটা এই মুহূর্তে বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে হবে। গণআন্দোলনে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে অতি সত্বর শান্তিশৃঙ্খলা ফেরাতে আমরা সেনাবাহিনীসহ দেশের আন্দোলনরত সকল জনতাকে ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানাই। অবিলম্বে সকল হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং গ্রেফতারকৃত সকল শিক্ষার্থী-জনতার মুক্তি দিতে হবে।
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে হাজার হাজার মানুষ গুলি খেয়েছেন, শত শত ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন। আমি শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং আহত ও নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
জিএমকুটি
যুগ্নসম্পাদক: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, জেদ্দা মহানগর বিএনপি।
সভাপতি: জেদ্দা জামেয়া স্টেইট, সৌদিআরব
সহসভাপতি: হবিগঞ্জ জেলা কল্যাণ সমিতি
ব্যবস্থপনা সম্পাদক: হবিগঞ্জ প্রতিদিন
উপদেষ্টা: দৈনিক কালনেত্র এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও হিউম্যান রাইটস হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার এরিয়া কো-অরডিনেটর।
কে/সিআর/স্বাক্ষাতকার/২৪