কালনেত্র◾ কবি, লেখক ও সাংবাদিক আসাদ ঠাকুর তার ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে লিখেন— আমার বাল্য বন্ধু অধিকাংশ হিন্দু। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ হিন্দু ছিলো। এখন নগরায়নের ধারণায় তারা শহরে বা অন্য কোন অঞ্চলে বসতি স্থাপন করলেও গ্রামের পরিচয় মুছে ফেলে নি একেবারে। এখনো আদি ভিটা সবাই যত্ন করে।
আমরা হিন্দু-মুসলিম কোনদিন আলাদা চোখে দেখি নি। এক সাথে পুজা, একসাথে খেলাধুলা করেই বড় হয়েছি। হঠাৎ শুনলাম, সংখ্যালঘু! এই শব্দ কোন দিন আমাদের গ্রামে আমরা শুনি নি!
আমাদের দেশে শুধু রাজনৈতিক কারনে সংখ্যালঘু শব্দের উদ্ভব হয়েছে, দিন দিন তাদের ঘর বাড়ি শুধু রাজনৈতিক কারণে পুড়ানো হয়েছে, এখনোও পুড়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। আমরা এইসব আর দেখতে চাই না। নতুন বাংলাদেশে এইসব হতে দেওয়া হবে না। এখানে কেউ সংখ্যালঘু নয়; সবাই নাগরিক। বাংলাদেশি নাগরিক। এক পরিবারের নানান ধর্মের মানুষজন।
নতুন বাংলাদেশের কাছে প্রত্যাশা আর একটা হিন্দুবাড়িতে যেনো কেও আগুন জ্বালাতে না পারে। কোন অপশক্তি যেনো আগুন নিয়ে আর কোন রাজনীতি না করতে পারে। আর একটা হিন্দু বাড়িতে আগুন জ্বললে, আর একটা হিন্দুকে সংখ্যালঘু বললে আমি বাংলাদেশের মুখোমুখি হবো। আমি কবি আমাকে কথা বলতেই হবে।
বিপ্লব দীর্ঘজীবী হউক।
কে/সিআর/২৪