কালনেত্র প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার খোয়াই নদীর চর থেকে উত্তোলনকৃত বালু অবৈধভাবে রাখা হচ্ছে যত্রতত্র রাস্তার পাশে। এতে হুমকির মুখে পাবলিক পরিবহন ও যাত্রী সাধারণ। সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে।
চুনারুঘাট-বাল্লা সড়কের আসামপাড়ায়, বনগাও বাঁশতলায়, রাজার বাজার ও কাচুয়ার জনসমাগম এলাকায় রাস্তার পাশে বালু মজুদের কারণে বিপনন ও পরিবহন করতে গিয়ে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট, ঘটছে মৃত্যুর মতো দূর্ঘটনা!
বিগত দিনে এসব অনিয়মের কারণে চুনারুঘাট উপজেলার রাখী মৌজার রাজার বাজার ব্রীজ সংলগ্ন খাস জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে মো: রাসেল মিয়াকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০-এর ১৫-এর ১ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্ধার্থ ভৌমিক।
একই দিনে খোয়াই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের আশ্বব উল্লাহর ছেলে সেলিম মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন চন্দ্র পাল।
উল্লেখ্য যে, বালু উত্তোলন, বিপনন ও পরিবহন অবৈধ নয়; তবে ডাইভারশন রাস্তা ব্যবহার বিশেষ জরুরী। ডাইভারশন রাস্তা ব্যবহারে যানজট থেকে রেহাই পাওয়া যায়। আর ভিজা বালু পরিবহন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে। তাছাড়া বালু মহাল নিরাপদ ও ঝুকিমুক্ত করতে বালু উত্তোলন ও বিপনন বিদ্যমান প্রক্রিয়ার বিকল্প পদক্ষেপ নিতে হবে। অবৈধভাবে রাস্তার পাশে বালু রেখে বিপনন ও পরিবহন বৈধ ও নিরাপদ নয়।
এছাড়াও খোয়াই নদীর বাঁধের ভেতর থেকে মাটি ও বালু উত্তোলন করায় পাকুরিয়া ও রাজার বাজার খোয়াই সেতু দুটি বর্তমানে হুমকির মুখে পড়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, প্রশাসন বারবার মামলা ও জরিমানা করেও অবৈধভাবে বালু ও মাটি কাটা বন্ধ করতে পারছে না।
চুনারুঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। এদের ছাড় দেওয়া হবে না।
কে/সিআর/২৪