কালনেত্র প্রতিবেদন◾ গতকাল ১৭ আগস্ট সকাল ১১টায় বেতন বৃদ্ধি ও চাকুরি স্থায়ীকরণসহ ৭ দফা দাবিতে অপসোনিন ফার্মার শ্রমিকরা ঘন্টাব্যাপী ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে।
শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর গোড়ায় অবস্থিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অপসোনিন ফার্মার শ্রমিক রানা, খুকুমনি, তাইজুল, রাব্বি।
সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাসদ বরিশাল জেলা শাখার সমন্বয়ক ডাঃ মনীষা চক্রবর্ত্তী, সোনারগাঁও টেক্সটাইল শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমরান, অর্থ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট বরিশাল জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক শহিদুল হাওলাদার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল জেলা শাখার অন্যতম সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বরিশাল মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক সুজন আহমেদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, অপসোনিনের শ্রমিকেরা দৈনিক ২৪০ টাকা মজুরি অর্থাৎ ঘন্টায় ৩০ টাকা মজুরিতে কাজ করে, ১২ ঘন্টা কাজ করা তাদের জন্য বাধ্যতামূলক, অথচ তারা ওভারটাইম পায়না। এই টাকায় সংসার চালানো এক কথায় অসম্ভব। দৈনিক মজুরিতে কাজ করার ফলে বেতন বাড়ানোর কথা বললেই শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হয়, কোন নিয়োগপত্র পরিচয়পত্র দেয়া হয়না। শ্রমিকরা অবিলম্বে ৬ মাসের বেশি কর্মরত শ্রমিকদের চাকুরি স্থায়ীকরণ, ন্যূনতম ১২ হাজার টাকা মাসিক বেতন, নিয়োগপত্র পরিচয়পত্র প্রদানসহ ৯ দফা দাবিতে সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরুদ্ধ করে রাখে।
পরে অপসোনিনের কর্তৃপক্ষের পক্ষে ম্যানেজার মোঃ সেলিম জাহাঙ্গীর, আই টি ম্যানেজার মোঃ সুমন, মোঃ সাইদুর রহমান ও শ্রমিকদের পক্ষে একটি প্রতিনিধি দল ও বাসদ বরিশাল জেলার সমন্বয়ক ডাঃ মনীষা চক্রবর্ত্তীর মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৮ ঘন্টায় ১০০ টাকা বৃদ্ধি করা, ৭ দিনের মধ্যে ৬ মাসের বেশি কর্মরতদের স্থায়ীকরণ প্রক্রিয়া শুরু ও পরিচয়পত্র প্রদান করা এবং ১ মাসের মধ্যে নিয়োগপত্র দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়৷ একইসাথে মালিকরা আন্দোলনরত শ্রমিকদের অন্যায়ভাবে ছাঁটাই বা হয়রানি না করার প্রতিশ্রুতি দেন। পরে শ্রমিকরা ৭ দিনের মধ্যে চাকুরি স্থায়ী করাসহ সকল দাবি মেনে নেয়ার আলটিমেটাম দিয়ে সড়ক থেকে সরে যান এবং দাবি না মানলে আবারও রাজপথে কঠোর আন্দোলন করার ঘোষণা দেন।
কে/সিআর/২৪