কালনেত্র প্রতিবেদক◾
বন্যা পরবর্তী কৃষি ও খাদ্য সংকট মোকাবিলায় উদ্যোগ নিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা। আসছে মৌসুমে দুর্গত এলাকায় ধান চাষের জন্য ‘নাবি আমন’ ধানের বীজতলা তৈরি করছেন তারা। ১৮ থেকে ২০ দিন পর উৎপাদিত এসব ধানের চারা পৌঁছে দেয়া হবে বন্যা কবলিত এলাকায়, যা থেকে প্রায় ৭০০ বিঘা জমিতে আবাদ করা যাবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, অতিবৃষ্টি ও ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা ঢলে তলিয়ে গেছে দেশের ১১ জেলা। স্মরণকালের এ বন্যায় এখনো পানিবন্দি লাখো মানুষ। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষিখাত। আমনের বীজতলা ও চারা সব নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বড় ধরণের খাদ্য সংকটের শঙ্কায় রয়েছেন বানভাসিরা।
এদিকে দেশের মানুষ বন্যা মোকাবিলা করছে সম্মিলিতভাবে। আর কৃষির ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ও খাদ্য সংকট মোকাবিলায় কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বন্যা পরবর্তী সময়ে কৃষকদের সহায়তা করতে বিনামূল্যে ‘নাবি আমন’ ধানের চারা বিতরণ করার উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।
এরইমধ্যে প্রস্তুত করা ১২ একর জমিতে চলছে ‘বিনা-১৭’ ও বায়ার বাংলাদেশের ‘ধানি গোল্ড’ জাতের ধানের বীজ বপনের কাজ। ১৮ থেকে ২০ দিন পর উৎপাদিত এসব ধানের চারা পৌঁছে দেয়া হবে বন্যা কবলিত এলাকায়, যা থেকে প্রায় এক হাজার কৃষক ৭০০ বিঘা জমিতে করতে পারবেন ধানের আবাদ।
শিক্ষার্থীরা জানান, কিছুদিন পর বন্যার পানি নেমে গেলেও, আবার চারা তৈরি করতে অন্তত এক মাসের মতো সময় লাগবে। এতে আমন ধান লাগানোর সময় পার হয়ে যাবে। আবার বন্যার কারণে চারা তৈরি করতে না পারলে কৃষকরা সমস্যায় পড়বেন। দেশে দেখা দেবে খাদ্য সংকট। তাই খাদ্য সংকটের কথা মাথায় রেখে আমরা বন্যা পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ধানের চারা দিয়ে সহায়তা করার উদ্যোগ নিয়েছি।
পরে যোগ দিয়েছেন অন্যান্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও।
ক_
সিআর—২৪