চুনারুঘাট প্রতিনিধি◾
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নে বন্যার্থদের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ এক প্রবাসীর।
অথচ দেশের প্রায় সংগঠনগুলোই প্রবাসীদের আর্থিক সহযোগীতায় পরিচালিত হয়, চিকিৎসার টাকায় অসংখ্য জীবন রক্ষা পায়, ঈদ ও শীতবস্ত্র বিতরণে মোটা দাগের যোগান দাতাও প্রবাসীরাই। একজন প্রবাসী শুধু নিজ পরিবারের লোকদের মুখেই হাসি ফুটান তা না, দেশ ও মানুষের দূর্দিনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেন প্রবাসীরা।
তেমনি এক প্রবাসী, রেমিটেন্স যোদ্ধা অত্র উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউপির আশ্রাবপুর গ্রামের আজগর মিয়ার ছেলে মনির আহমেদ। ছোট আরেক ভাইকে সঙ্গে নিয়ে থাকেন দুই ভাই দুবাই। এলাকার লোকেদের সুখে দুঃখে চেষ্টা করেন পাশে থাকার। যখন যারাই যে প্রয়োজনে নক করেন সাধ্যমত সহযোগিতা করেন মনির। কখনো দরিদ্র কোন পরিবারের মেয়ের বিয়েতে, কারও চিকিৎসায়, মসজিদের নির্মাণ কাজে, ওয়াজ মাহফিলে আর্থিক সহযোগীতা করে যাচ্ছেন।
সাম্প্রতিক বন্যায় যখন আমুরোডের বটতল পানিতে ডুবে গিয়েছিল তখন সেখান থেকে মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করে ত্রাণের জন্য টাকা নেয় করইটিলা গ্রামের বটতলের তারা মিয়ার ছেলে জাবেদ ওমর। পরবর্তিতে মোঠোফোনে যোগাযোগ করে তার সাড়া না পেয়ে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য দেয়া টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন মনির। পোষ্টে উল্লেখ করেন, ত্রাণের জন্য তহবিল গঠনের কথা বলে টাকা নিবেন, আর সেই টাকা কাদের দেওয়া হয়েছে, তার প্রমাণ দেখাতে পারবেন না। সেটা আত্মসাৎ নয়তু কি? মন্তব্যের ঘরে অনেকেই তাঁদের কাছ থেকেও টাকা নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে এর সমালোচনা করেন।
পরবর্তিতে এই বিষয়ে খোঁজ নিতে শুরু করলে ‘প্রতারণা’র বিষয়টি সামনে আসে কালনেত্র প্রতিনিধির। প্রবাসীদের সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করে নিজের মুঠোফোন নম্বরে টাকা নেয়ার স্ক্রীন সটও পেয়েছে কালনেত্র।
জানা যায়, বিভিন্ন জন ৫০০ থেকে হাজার টাকা করে দিয়েছেন। মোট কত টাকা, তা জানা যায়নি। এর তদন্ত হওয়া উচিত। দোষী প্রমাণিত হলে জাবেদ ওমরের শাস্তি হোক।
ক_
সিআর—২৪