লেখা
আলতাফ রিফাত◾
আমাদের দেশের অধিক উৎপাদনশীল পণ্যের একটি হচ্ছে আলু। দেশে আলুর চাহিদা ব্যাপক, ধানের পর পরেই আলুর চাহিদার স্থান।
কৃষকদের অনেকাংশই আলু চাষে আগ্রহী না। আগ্রহী না থাকার পেছনে বিশেষ কারণ ২ টি।
১) পর্যাপ্ত হিমাগার নেই (পর্যাপ্ত সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায় অনেক আলু নষ্ট হয় )
২) সরকার কর্তৃক জাত উন্নয়ন এবং বিপণন ব্যবস্থার অভাব (যার ফলে প্রান্তিক কৃষক আলু চাষে আগ্রহী না)
বেসরকারি হিমাগারের খরচ অতিরিক্ত হওয়ায় আলু চাষে অনিহা সবার। দেশে ৪২ টি জেলায় হিমাগার রয়েছে।
সরকারি হিমাগার রয়েছে ১৭ টি যেখানে ২৮ হাজার টন আলু মজুদ রাখা যায়।
দেশে বেসরকারি হিমাগারের সংখ্যা ৩৩৫ টি যার ধারণ ক্ষমতা ৪৫ লাখ টন।
হিমাগারের ধারণ ক্ষমতার ৯০%(-+) ব্যবহার করা হয় এবং উৎপাদনের বাকি অংশ কৃষকেরা সনাতনী পদ্ধতিতে ৩ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করে থাকেন, আবার কিছু অংশ নষ্ট হয়।
(উপরের সকল তথ্য সরকারি তথ্যের সাথে কম বেশি হতে পরে)
দেশে যে পরিমাণ হিমাগার রয়েছে তা শুধু বীজ সংরক্ষণের জন্য হলেও পর্যাপ্ত না। বাংলাদেশের উৎপাদনশীল সকল উপজেলায় সরকার কর্তৃক হিমাগার স্থাপন করা জরুরি। কৃষকদের সকল ধরনের সুবিধা দিলে উৎপাদন অনেক বেশি হবে।
আমি আশাবাদী বিদ্যান কৃষকের হাতে দেশের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়বেই।
ক_
সিআর-২৪