আলতাফ রিফাত, চুনারুঘাট◾
আমাদের দেশে অধিকাংশ খাদ্য সামগ্রী আমদানি করতে হয়। এই সংকট কাটাতে জনসাধারণকে গণহারে উৎপাদনমুখী হওয়ার বিকল্প নাই। আমরা সকলে চাইলে নিজের অবস্থানে থেকে কিছুটা হলেও উৎপাদনের অংশ হতে পারি।
শহরবাসীদের কাজ▪️
আমরা যারা শহরে বসবাস করি তারা প্রথমেই চিন্তিত হই চাষ উপযোগী জায়গার সংকট নিয়ে। শহরে বসবাসকারী সকলেই চেষ্টা করেন নিজের বাসায় কিছু ফুল বা সৌখিন গাছ সংগ্রহে রাখতে। সে ক্ষেত্রে আমরা চাইলে নিজের শৌখিন গাছের গাছের পাশে পরিবারের সদস্য সংখ্যা যত ততটি শাক-সবজির টব রাখতে পারি। যেমন সদস্য সংখ্যা ৫ হলে সবজির টব থাকবে ৫টি যেখানে ৫ ধরনের শাক-সবজি হবে। সকল গাছের দেখভাল দায়িত্ব বাচ্চাদের দিবেন।
টবে শাক-সবজি চাষে উপকারিতাঃ
১) দেশের মোট উৎপাদনে নিজেকে জড়িত রাখতে পারবেন।
২) বাচ্চাদের বীজ থেকে পূর্ণাঙ্গ সবজিতে রূপান্তর সরাসরি দেখতে পারবে যা বাচ্চাদের মানসিক সাস্থ/মেধা বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
৩) কিছুটা হলেও নিজের উৎপাদিত সাস্থসম্মত খাবার সুযোগ পাবেন।
গ্রামবাসীদের কাজ▪️
আমরা যারা গ্রামে থাকি আমাদের কৃষি কাজের সাথে জড়িত থাকার অনেক সুযোগ রয়েছে। গ্রামে যাদের পর্যাপ্ত ফসল চাষে জায়গা নেই তারা চাইলে বাড়ির আঙিনায় ভিন্ন ধরনের শাক-সবজি চাষ করতে পারেন।
আঙিনায় শাক/সবজি চাষে উপকারিতাঃ
১) দেশের মোট উৎপাদনে নিজেকে জড়িত রাখতে পারবেন।
২) নিজে অর্থনৈতিক ভাবে সাবলম্বী হতে পারেবেন।
৩) নিজের পরিবারের জন্য সস্থসম্মত খাদ্যের জোগান দিতে পারবেন।
৪) উৎপাদন ক্ষমতা অনুসারে প্রতিবেশীদের মাঝে বিতরণ করতে পারবেন।
আমাদের দেশের বর্তমান জনসংখ্যা (১৮+) কেটি। সার্বিক অসুবিধা জায়গা সংকট এর কারণে ৪ কোটি মানুষ এই কার্যক্রমে অংশ নিতে না পারলেও (১৪+) মানুষ এই কার্যক্রমে আগ্রহী হবেন বলে আমি আশা করি। যদি প্রতি মাসে ১ কেজি করে উৎপাদন করি তাহলে আমার দেশের জন্য (১৪+) কোটি কেজি খাদ্য উৎপাদন করতে সক্ষম হবো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে একজন মানুষের গড়ে প্রতিদিন ২২০ গ্রাম শাক-সবজি খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৩০% মানুষ এই প্রয়োজন পূরণ করতে সক্ষম।
ডেইলি বণিক বার্তা খবরের কাগজে প্রকাশিত জানুয়ারি ২০২৪ এর তথ্য অনুযায়ী শুধুমাত্র ঢাকার বড় বড় পাইকারি কাচবাজারগুলোতে দৈনিক ৭ লাখ কেজি শাক-সবজির বেচা-কেনা হয়। অথচ যদি আমরা আমাদের বাড়ির আঙ্গিনা/ছাদ বাগান/বারান্দার বাগানে চাষের মাধ্যমে মাসে এক কেজি করে ফসল উঠাতে পারি তাহলে ঢাকার মতো শহরে ২০০ দিনের সবজির যোগান দেয়া সম্ভব।
ক_
সিআর—২৪