প্রতিবেদক
মোঃ জামাল উদ্দিন◾
মজমপুর বাসস্টান্ড থেকে উঠবেন অটোতে, দশ মিনিট পড়ে ৫ টাকা দিয়ে বড়বাজার রেলগেটে নামবেন। কুষ্টিয়া শহর ঘুরে দেখা শেষ।
তারমাঝে রথখোলার মন্দির পাড় হওয়ার সাথে সাথে পুরাতন কলকাতার আবহাওয়া পাবেন হালকা। যারা পুরাতন কলকাতাতে ঘুরেছেনে তারা বুঝবেন। আশে পাশের বিল্ডিং গুলা, দোকানের প্যাটার্নের, রাস্তার পানিপুরি ফুচকার মাঝে এ আমেজটা আছে।
বড় বাজার রেলগেটে নেমেই দেখবেন হাতের ডানে গান্ধী হোটেল। হাতে অফুরন্ত সময় থাকলে ধাম করে ডাবল ডিমের একটা মোগলাই এখানে খাওয়া যেতেই পারে। গান্ধী হোটেলর অপরদিকে কচুরী পাবেন খেতে৷
বড় বাজার থেকে ইচ্ছা হলে দুই মিনিট হেটে গড়াই নদীর তীরে যেতে পারেন, আবার আরেকটা অটো নিয়ে লালন শাহ এর মাজার ঘুরে দেখতে পারেন। মাঝ রাস্তাতে পড়বে টেগর লজ! রবী ঠাকুরের বাড়িতে উকি দিতেই পারেন। আর পুরা এই এলাকার মাঝে আছে, এক সময়কার এশিয়ার সব থেকে বড় বস্ত্রকল ‘মোহিনী মিল’।
মোহিনী মিলের গেটের পাশেই কিন্তু পাবেন বিখ্যাত তিলের খাজার কারখানা। সাহস নিয়ে ঢুকে পড়বেন। ধীম ধাম গরম তিলের খাজা চালান করবেন পেটে। কুমিল্লার রসমালাই অনেক বিখ্যাত! খুব টেস্ট, বিশ্বাস করেন কুষ্টিয়া রসমালাই বিশেষ করে অশোকের রসমালাই খাওয়ার পড়ে, আপনাকে দ্বিতীয়বার চিন্তা করতে হবে৷ কুমারখালীর দই খাওয়ার পড়েও আপনাকে বগুড়ার দই-এর টেস্টের সাথে একটা পরীক্ষা করা লাগতেই পারে।
যেখানে শাহের বারাম খানা!! সেখানে গিয়ে গান শুনবেন। খানেক জিড়াবেন। একটা কুলফি খাবেন৷ অতঃপর রানীর ঘাটে বসে কালী নদীর শান্ত পানির দোলনের সাথে হাওয়া দেখবেন বাতাস খাবেন।
কুষ্টিয়াতে কিন্তু আবার গরুর দুধের চা বেশী চলে। আমরা মাঝে মাঝেই চা খেতে চলে যাই মোল্লা তেঘরিয়ার মোরে,কখনো রাহিনীতে আবার কখনো কাটাইখানা মোড়ে। ইচ্ছে হলে চা এর সাথে টা হিসেবে আপনি পোড়া রুটিও খেতে পারেন।আহা কি স্বাদ! অমৃতের মতো৷ গরম গরম পেটিস খেতে হলে হরিবাসোর মোরে মন্দিরের পাশে! বিকালে আড্ডাবাজির জন্য সরকারি কলেজের পুকুর হচ্ছে বেস্ট। সেখানকার ঝালমুড়ি খেয়ে দেখতে পারেন। মন্দ নয়!
বিকালে আগে ঘোরার জায়গা ছিলো রেইনউইক বাধ! এখন সেটা হরিপুর শেখ রাসেল ব্রীজ। ব্রীজে এপার ওপার দুইপারে জনসমুদ্র! এই জনসমুদ্র ভালো না লাগলে হুট করে চলে যাবেন মোহনায়! পদ্মার পেট ফুড়ে গড়াই এখানেই জন্মেছে! আহা কি তার রুপ! মনে হয় সাগর। শহরের দিকে গড়াই শুকনা। এটা কিন্ত কুষ্টিয়ার মিনি কক্সবাজার।
ক_
সিআর—২৪