✍️
ডেস্ক রিপোর্ট◾
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন এক ব্যক্তি। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ওই ব্যক্তির নাম তোফাজ্জল। তাঁর বাড়ি বরিশালের বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠাল তলি ইউনিয়নে। তার বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। জানাগেছে- তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।
হল সূত্রে জানা যায়, মূলত মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে ঘটে এ ঘটনা। দুপুরে হলের মাঠে শিক্ষার্থীদের মধ্যকার ক্রিকেট খেলা চলাকালীন ৬ টা মোবাইল চুরি হয়ে যায়। পরবর্তীতে খেলা চলাকালীন ৮টার দিকে তোফাজ্জল হলে ঢুকলে তাঁকে আটক করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাদের ধারণা, তোফাজ্জলই মোবাইল চুরি করেছে। তাকে গেস্টরুমে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ এবং হালকা মারধর করেন শিক্ষার্থীদের কয়েকজন। পরবর্তীতে তাকে খাওয়া-দাওয়া করিয়ে আবারও গেস্টরুম নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়।
তোফাজ্জল মানসিক ভারসাম্যহীন জানার পরেও তাঁকে ছাড়েনি অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল শিক্ষক, সিনিয়র শিক্ষার্থীরা তাদের নানাভাবে বোঝানোর চেস্টা করেও ব্যর্থ হন।
যতটা মারলে কেউ বাঁচতে পারেনা, তারা তারও অধিক নিষ্ঠুর আঘাতে মেরে ফেলে তোফাজ্জলকে। হাত পা, চোখ বেধে তাঁর গোপনাঙ্গে প্রচুর আঘাত করা হয়। আঘাতে তার শরীরের মাংসগুলো খসে পড়ছিল। আঙুলগুলো পুরো ছেঁচে ফেলা হয়েছিল। সবার সামনেই মহসিন হলের ছাত্র জালাল, সুমনরা এগুলো করেছে।
গ্যাস লাইট দিয়ে ছাত্ররা পায়ে আগুনও ধরিয়ে দেয় তার। বুট জুতা পড়ে এসে হাতের আঙুল মাটিতে ঢলে ছেঁচে দেয়া হয়েছিল!
পরে অবস্থা খারাপ দেখে এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের পাঁচ-ছয় জনের একটি দল তাঁকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যান। সেখান থেকে রাত ১২টার দিকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় চিকিৎসক তোফাজ্জলকে মৃত ঘোষণা করলে সটকে পড়েন ওই শিক্ষার্থীরা।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ জানান, শাহবাগ থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে।
ক_
সিআর—২৪