সাপ্তাহিক সাহিত্য পাতা; কালনেত্র
কবি পরিচিতি◾
কবি এম ফজলুর রহমান খালেদ ১৯৮১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারী হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার কাচুয়া খন্দকার বাড়ি( মামা বাড়িতে) এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন।
কবির পৈত্রিক নিবাস উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর গ্রামে। পিতা মরহুম এম হাবিবুর রহমান ছাবু মাষ্টার, মাতা বেগম রাহেলা হাবিব তালুকদার।
কবি এম এ এবং এলএলবি পাশ করার পর শিক্ষানবিশ আইনজীবি হিসেবে অভিজ্ঞতার্জন করছেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি সাহিত্য চর্চার সাথে জড়িত। তার অনেক কবিতা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হলে পাঠক মহল থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায়। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ: ' শত কবি ও কবিতা' (যৌথ), 'এগারোর কবিতা'সহ (যৌথ), আরো বেশ কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ। তিনি কবিতার পাশাপাশি উপন্যাসও লিখছেন। তিনি খোয়াই সাহিত্য সংসদ ও চুনারুঘাট কবি পরিষদের সাথে জড়িত।
——————
কবি এম ফজলুর রহমান খালেদ এর ৩টি কবিতা
এক
প্রতিক্ষিত খেলাফত
দ্বীনের আলোয় আলোকিত হয়েছিলো
এককালে এই সারাটি কায়েনাত,
দরিয়ার সাদা তাজীর মতো
দ্রুত ছুটে আসছিলো
মানবেরা আলোর পরশে।
শত-শত বছর পুর্বে এ ধরায় এসেছিলেন
মহানবী (স.) মানবরূপে মানবের তরী
তাড়াতে আঁধার
আলোর প্রেমে গেছেন আঁধার বধ।
মাত্র তিনশত তেরজন
আশেক মুজাহিদ নিয়ে
তামাম কায়েনাতে
দিয়েছেন আলোর পরশ।
কতল হয়েছিল আলোর আভায়
আজাজিলী কুশাসন।
আজো পারিনি মোরা
তাদের উপম ত্যাগ ,
আজাজিলী কুশাসনে চলিতেছে এ ধরা!
ধ্বংসিতে পারিনি মোরা কোটি-কোটি জনতায়-
বাড়ে কেনো অনুতাপ?
আধাঁর ঘিরে যাবে নাকি আবার আলোকছটা?
আহা !
ভাবি মনে মনে ...
সেই মহা পুরুষের (আ.) রেনেসারঁ বিজয়ে
প্রতিষ্ঠা হবে- তো তামাম কায়েনাতে
প্রতীক্ষিত খেলাফত?
কবে খতম হবে সমাজ থেকে
আজাজিলি কুশাসন ?
১ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৫
ঘনশ্যামপুর, চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ।
দুই
সত্যের শপথ
নবীন প্রাণে এখন যে স্বাদ
নিত্য নতূন জীবন গড়া,
সত্য পথের পথিক মোরা
দেব এখন নাড়া ।
আজ থেকে বিঘ্ন বাধা
সামনে আসুক যত,
দল বেধে সব এগিয়ে যাব
সদা অগ্রে অবিরত ।
আজ হতে করবো লড়াই
ন্যায়ের হবে জয়,
ন্যায় ধর্মের জয়ধ্বনী
ছড়িয়ে দেব বিশ্বময়।
আজ হতে হৃদ কখনো
করবো নাকো কালো,
দেশের তরে জাতির তরে
ছড়িয়ে দেব আলো ।
ভীরুর মতো ঘরের কোণে
র-ইব নাকো শপথ নিলাম আজ,
সত্য পথে কেতন হাতে
দূর করিব কাল বৈশাখী সাজঁ ।
প্রথম প্রকাশ- ১৯৯৮, দেলোয়ার তালুকদার সম্পাদিত সাহিত্য সাময়িকী 'সেতু' ,গাজীপুর, চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ।
তিন
কবিতা মৃত্যু
প্রাণীর প্রাণ যাবেই উড়ে
এতো বিধাতার অমোঘ বিধান
মৃত্যুর পরোয়ানা দেয়নি কভূ
কাউকে পরিত্রান।
জন্ম উন্মেষ ঘটিবার লগ্নে
মৃত্যু খন্জর আছে তব
পিছু ঘিরে ঘিরে,
কবে কখন দেবে ছোবল
কে জানে...?
কেড়ে নিবে নির্দয়ে
প্রিয় পিঞ্জরের পাখিটিরে।
এমন কে রয়েছে
দুর্দিন লগ্নে
পিঞ্জর পাখিটি
কাদিবে যখন করুণ স্বরে
এহেন মুমুর্ষ কালে...।
কে দাড়াবে রক্ষার তরে?
পাড়া পরশী আত্মীয়-স্বজন
যত আছে বন্ধু সু-জন
ক্রন্দন ছাড়া মূখে
না রয় কোন আলাপন।
ধরাতলে এসে,
পূণ্যকর্ম করে যেতে পার তবে,
নিশ্চয়-ই বিধাতার
সেতো প্রিয় হবে,
ভয়ের সঞ্চার থাকিবে কি আর ?
বিধাতা থাকেন সহায় যাহার।
দ.ক.সিআর—২৪