নিজস্ব প্রতিবেদক◾
সুন্দরের সাধনায়, সাংস্কৃতিক জাগরণের প্রত্যয় নিয়ে চুনারুঘাট সাহিত্য- সংস্কৃতি পরিষদ লড়াই করে চলেছে সবধরণের অসুন্দর, অপসংস্কৃতি ও অশুভের বিরুদ্ধে।
চুনারুঘাট সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ প্রত্যাশা করে- দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য পূর্ণ ও বিভিন্ন জাতি সম্প্রদায়ের চিত্রভাবে বাঁচার বাসযোগ্য সমাজের।
এই বাংলায় বিচিত্র মানুষ বসবাস করে। প্রতিটি ধর্ম, জাতি ও সম্প্রদায়ের মানুষ এখানে প্রাণ খুলে তাদের ধর্মীয় ও সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান পালন করে। সংস্কৃতি মানে সুন্দরভাবে, নান্দনিক বৈচিত্রতা নিয়ে বাঁচা। আমরা তাই সুন্দরভাবে, বিচিত্রভাবে বাঁচতে চাই।আমরা হিন্দু বুঝিনা, মুসলিম বুঝি না, খ্রিষ্টান বুঝি না, বৌদ্ধ বুঝি না, চাকমা বুঝি না, মারমা বুঝি না। আমরা মানুষ বুঝি। এই মানুষদেরকে নিয়েই আমরা বিচিত্রভাবে বাঁচতে চাই।
প্রিয় সুধী, এই গাঙ্গীয় বদ্বীপে হাজার বছরের যে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, সংগ্রামের যে ইতিহাস তার প্রতি অবিচল থেকে ১৯৮৯ সালের ১ অক্টোবর থেকে চুনারুঘাট সাহিত্য- সংস্কৃতি পরিষদের যে অভিযাত্রা শুরু করেছিলো তা ৩৫ বছর পূর্ণ করলো। জন্মের সেই মাহেন্দ্রক্ষণকে স্মরণে রাখতে চুনারুঘাট সাহিত্য সাংস্কৃতিক পরিষদ একগুচ্ছ অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠান সূচীঃ ২৭ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার বেলা ৩ : ৩০ মিনিটে আবৃত্তি প্রতিযোগিতা।
স্থানঃ বিদ্যুৎ পাল মিলনায়তন
২৮ সেপ্টম্বর শনিবার বেলা ৩টা ১মিনিটে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা।
স্থান- বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল
বিকাল ৪ টা ১ মিনিটে পাপেট নাটক "চিকেন খাইনা" (বাঘ ও বকের গল্প), পরিবেশনায়: জলপুতুল পাপেটস্ , ঢাকা।
এছাড়া আরও থাকছে পুতুল খেলা, পুতুল বানানো ও গ্রুফ ভিত্তিক শিশু চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা।
১ অক্টোবর মঙ্গলবার ,বিকেল ৪ : ৩০ মিনিটে পুরস্কার বিতরণী ও পরিষদের জন্মোৎসব।
স্থানঃ বিদ্যুৎ পাল মিলনায়তন
এতে আপনার/আপনাদের অংশ গ্রহনে এই আয়োজনের শুধু সাফল্যই নয়, উৎসবমুখর আনন্দ সুখের অনুরণন ঘটাবে। এবং প্রেরণা জোগাবে অবক্ষয়মুক্ত সমাজ ও সাংস্কৃতিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে।
আমন্ত্রণে- চুনারুঘাট সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ, চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ
দ.ক.সিআর—২৪