বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতাকে মারধরের অভিযোগে ২নং আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন পলাশসহ ৯৭ জনের বিরুদ্ধে চুনারুঘাট থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
গত ১১ সেপ্টেম্বর উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও জনতা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ গোলচত্বর এলাকায় জড়ো হন। এ বিক্ষোভ চলাকালে ওই দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চেয়ারম্যান জাকির হোসেন পলাশ, মানিক সরকার ও কবির মিয়া খন্দকারসহ একদল লোক আন্দোলকারীদের ওপর হামলা চালান। এ সময় মামলার আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা–কর্মীদের ওপর। এতে অসংখ্য লোকজন আহত হন।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, এ আন্দোলনের সময় আসামি মানিক সরকার তাঁর হাতে থাকা একটি রামদা দিয়ে উপজেলার বড়গাঁও গ্রামের অলিউর রহমানকে আঘাত করেন। অপর আসামি কবির মিয়া খন্দকার বাদীকে একটি রড দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পাশাপাশি অন্য আসামিরাও অস্ত্র হাতে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে বেধড়ক মারধর করেন।
এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন চুনারুঘাট পৌরসভার সাবেক মেয়র সাইফুল আলম, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন পলাশ, রুমন ফরাজী, মানিক সরকার, মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, ওয়াহেদ আলী ও আব্দালুর রহমান, চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পিপি এম আকবর হোসেইন জিতু, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলী, যুগ্ম সম্পাদক সজল দাশ, তাঁতী লীগের সভাপতি কবির মিয়া খন্দকার, কাউন্সিলর আবদুল হান্নান, সাবেক চেয়ারম্যান রজব আলী প্রমুখ।
বর্তমানে এদের সবাই গ্রেফতার এড়াতে পলাতক আছেন। তবে সুধীজনরা বলছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এদের কেও কেও উক্ত মামলার আসামী হয়েছে।
দ.ক.সিআর-২৪