আঞ্চলিক প্রতিবেদক, সিলেট
সিলেট ও সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে সিলেটের সদর, কোম্পানীগঞ্জ ও বিশ্বনাথ এবং সুনামগঞ্জের ছাতক, দোয়ারাবাজার ও জামালগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে তারা প্রাণ হারিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়া ইউনিয়নে মাছ ধরতে গিয়ে আনসার আলী নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। আনসার আলী খাদিমপাড়া ইউনিয়নের কাটিমারা গ্রামের বাসিন্দা। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। শাহপরান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।
এদিনই কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রাজনগর স্কুলের পাশের মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মারা যান মাসুক আহমেদ (৪১)। তিনি উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের মধ্য রাজনগর গ্রামের কনু মিয়ার ছেলে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে ভোরে সিলেটের বিশ্বনাথে বজ্রপাতে রেদওয়ান আহমদ (১৯) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হন সুফিয়ান আহমদ (১৬) নামে আরও একজন। উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের সাড়ইল গ্রাম সংলগ্ন ডুবির হাওরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রেদওয়ান আহমদ সাড়ইল গ্রামের ওলিউর রহমানের ছেলে ও সিলেট এমসি কলেজের বিএসএস ১ম বর্ষের ছাত্র। বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুবেল মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এছাড়া সুনামগঞ্জের ছাতক, দোয়ারাবাজার ও জামালগঞ্জে হাওরে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে চার জন মারা গেছেন।
ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) গোলাম মোস্তফা মুন্না জানান, ছাতক উপজেলায় সুন্দর আলী (৫০) নামে এক জেলে বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। তিনি ছাতক উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের খুরশেদ আলীর ছেলে। সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার বোয়া বিল হাওরে বজ্রপাতে তিনি নিহত হন।
প্রায় একই সময়ে দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডার গাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম পলিরচর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে মো. জালাল মিয়া এবং একই গ্রামের মো. নুরুল হকের ছেলে মো. জসিম উদ্দিন দেখার হাওরে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। স্বজনরা খবর পেয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করেন।
দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল ওয়াহিদ জানান, “সকালে দেখার হাওরে মাছ ধরতে গিয়েছিল দুজন। এ সময় বজ্রপাতে তারা ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাদের মরদেহ স্বজনরা উদ্ধার করেছেন।”
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নেহের নিগার তনু জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার সকালে জামালগঞ্জ উপজেলার পাকনার হাওরে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে সদর ইউনিয়নের কালাগুজা গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে শরীফ মিয়া প্রাণ হারান। পরে তার মরদেহও স্বজনরা উদ্ধার করেন।
জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মুশফুকীন নূর বলেন, নিহতের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
দ.ক.২৪