কালনেত্র প্রতিবেদন◾
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ৩নং দেওরগাছ ইউনিয়নের মরহুম ছুরুক আলী চেয়ারম্যানের বর্ণাঢ্য রাজনীতির প্রভাব তাঁরই সুযোগ্য সন্তান রুমন ফরাজীর নৈতিক রাজনীতিতেও পরিলক্ষিত ছিল।
যেকারণে রুমন ফরাজী একজন আস্থাভাজন ও বিশ্বস্থ আওয়ামীলীগকর্মী হিসেবে নিরলসভাবে জনগণের সেবায় কাজ করার সুযোগ পাচ্ছিলেন।
সর্বোপরি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যেসব স্বপ্ন রয়েছে সেই সব স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তাঁর পরিশ্রম, সাহস, একাগ্রতা আর ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করার সাফল্য একের পর এক ইউনিয়নবাসী উপভোগের সুযোগ পাচ্ছিলেন।
তিনি বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে ছিলেন। তাই ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার উন্নয়নও হচ্ছিল আশানুরূপ। তবে এলাকার সাধারণ মানুষেরা জানান “আমরা নেতা বা চেয়ারম্যান বুঝিনা, রুমন ফরাজী একজন ভাল ও কর্মঠ ব্যক্তি; মানুষের দুঃখ দুর্দশায় তাঁকে সহজেই পাশে পাওয়া যেত। আমরা তাকে পেয়ে সত্যিই খুশি ছিলাম”।
ইতিমধ্যে তিনি সমাজের সকল মতাদর্শের মানুষের কাছে একজন দক্ষ পরিশ্রমী ও মেধাবী সমাজ সেবক এবং নেতা হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে ছিলেন। নির্বাচনকালীন সময়ে বিভিন্ন পাড়া মহল্লার সাধারণ জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে একজন সফল ও জনপ্রিয় চেয়ারম্যান হিসাবে সব শ্রেণীপেশার মানুষের অন্তরে স্থানও করে নিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকার উন্নয়নে যেসব পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন, গৃহিত পরিকল্পনার আলোকে একের পর এক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে যাচ্ছিলেন। সামাজিক সচেতনতা, বিচার শালিস ও জনসেবার অনন্য উদ্যােগ তাকে একজন নৈতিক মানুষের উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছে। তিনি এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পও হাতে নিয়ে ছিলেন।
এ পর্যন্ত ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তার উন্নয়ন, কালভার্ট, ব্রীজ, কবরস্থান, ঈদমাঠ সংস্কার সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়তে সচেষ্ট ছিলেন। গরীব, অসহায় মানুষের মাঝে বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধিভাতা, বিধবাভাতা, গর্ভকালীন ভাতা ও রেশনকার্ড সহ সরকারের সকলপ্রকার ত্রাণ-দান সঠিকভাবে বিতরণ করে চলেছেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছিলেন। তিনি দেওরগাছ ইউনিয়কে আধুনিক মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলবেন এমনটাই স্বপ্ন দেখতেন। যারজন্য তিনি ইউনিয়ন পরিষদে নিয়মিত অফিস করতেন।
সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতাকে মারধরের অভিযোগে দেওরগাছ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব রুমন ফরাজীসহ আরও ৬জন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চুনারুঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এতে রুমন ফরাজীসহ এদের সবাই গ্রেফতার এড়াতে পলাতক আছেন।
তবে সুধীজনরা বলছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে রুমনসহ এদের কেও কেও উক্ত মামলার আসামী হয়েছেন।
দ.ক.হবি.চুনা.ইউপি