সংবাদদাতা
মোঃ নুরুল ইসলাম সজল◾
"A man behind the Scenes" Babu Nirmal Chandra Deb" পর্দার আড়ালে থাকা রাজনৈতিক ব্যক্তি, আওয়ামী লীগ নেতা নির্মল চন্দ্র দেব এর আমলনামা—
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ১নং গাজীপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের তিন বারের নির্বাচিত ইউপি মেম্বার, প্যানেল চেয়ারম্যান ও সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি নির্মল চন্দ্র দেব এর রাজনীতির উত্থান শুরু হয় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী প্রয়াত এনামুল হক মোস্তফা শহীদ এমপি'র হাত ধরে। চাকুরিও নিয়েছিলেন রেমা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা বিভাগে। সাফল্যের শীর্ষে স্থান পেতে আবার হাত ধরেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এড. মাহবুব আলীর। ফ্যাসিস্ট হাসিনার লুটপাটের গত ১৫/১৬ বৎসরে দুইজন মন্ত্রীর হাতের শীতল ছায়ায় থেকে তার ভোগ-বিলাশের ফিরিস্তিটা অনেক লম্বা। শুধু সময়ের সাথে নিজের রং বদলাতে গিরগিটির মতো দারুণ পটু হওয়ায় এখন পর্যন্ত আছেন ধরা ছোয়ার বাইরে।
স্থানীয়দের মতে- নির্মল চন্দ্র দেব গভীর জলের মাছ। নিজেকে আড়াল করে জলের গভীরে থাকতেই পছন্দ করেন তিনি। যেকারণে আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক ক্ষমতার অবসান ঘটলেও এর প্রভাব পড়েনি এই ভেজা বেড়ালের পদপদবী বা রাজনীতিতে!
তবে ৫আগস্টের স্থানীয় সংস্কারপন্থীদের মতে, বাবু নির্মল চন্দ্র দেবকে আইনশৃংখলা বাহিনীর নজরে নেয়া উচিত। কথিত আছে, তার লুটপাটে অতিষ্ট চা শ্রমিকরা অবদি একসময় তাকে বাগান ত্যাগে বাধ্য করেছিল!
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চা বাগানের দায়িত্ব কালিন সময়ে রেমা বাগানের শত শত পুরনো গাছ উধাও হওয়ার নেপথ্যে নির্মল বাবুর সম্পৃক্ততা ছিল অসামান্য।
বর্তমানে নির্মল চন্দ্র বাবু গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি। সরকারের ত্রাণ ও বিভিন্ন ভাতা ভোগে তার কোন অনিয়ম বা দূর্নীতি আছে কিনা এই অনুসন্ধ্যানে কাজ করছে বেশ কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকার প্রতিনিধি দল।
দ.ক.সিআর-২৪