চুনারুঘাট প্রতিনিধি◾
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের গোছাপাড়া গ্রামের মরহুম আব্দুল ছমদ মিয়ার পুকুর ভরাট করে গোছাপাড়া জামে মসজিদ বারান্দা নির্মাণ করেছে বলে অভিযোগ তোলেছেন মরহুম ছমদ মিয়ার পুত্র আমুরোড বাজারের ডেকুরেটার্স ব্যবসায়ি আব্দুল মন্নান।
এজহারে উল্লেখিত কর্মকান্ডের জন্য বিগত ১৩ আগস্ট ২৪ ইং তারিখে ২নং আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল লতিফ সাহেবের সভাপতিত্তে একটি বিচারকার্য সংগঠিত হয়। উক্ত বিচারে মসজিদ কমিটি ভেঙ্গে পুনরায় নতুন কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হলেও আজ পর্যন্ত হয়নি নতুন কমিটি। উপরন্তু অভিযোগকারী জমিদাতা সদস্য আব্দুল মন্নানকে মসজিদের বদর কমিটির সদস্য পদ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগকারী দাতাসদস্য আব্দুল মন্নানের ভাষ্য মতে- গোছাপাড়া জামে মসজিদের সম্মুখের পুকুরটি তার বাবা মরহুম ছমদ মিয়ার এজমালি সম্পত্তি। ছমদ মিয়া জীবদ্দশায় দীর্ঘ ৩০ বছরের অধিক সময় পর্যন্ত উক্ত মসজিদের খেদমতে ছিলেন। তাছাড়া তিনি একজন নামাজী ও খোদাভীরু লোক ছিলেন। সে সুবাধে মৃত্যুর আগে তিনি পুকুরের এজমালি অংশ থেকে ১ শতক জায়গা মসজিদে দান করে যান। কিন্তু এজমালি পুকুরটি অংশিদার মতে ভাটুয়ারা না হওয়ায় এবং পুকুরের আরেক অংশীদার আঃ জাহিরের অংশ মসজিদ কমিটি কিনে নিয়ে ভাটুয়ারা দলিল ছাড়াই অংশীদারদের বাধা অমান্য করে পুকুরের সরশ অংশ মসজিদ কমিটি দখল করে নেয়। কমিটির এমন অন্যায় আচরণে আঃ মন্নান প্রতিবাদ করলে কমিটির সাথে তার তিক্ততা সৃষ্টি হয়।
এতে আঃ মন্নান মনক্ষুন্ন হয়ে মসজিদের আয় ব্যয় সহ সকল প্রকার সম্পদের খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারেন, কমিটির সভাপতি নির্বাচনের সময় আঃ সালাম তালুকদার মসজিদে যে এক টুকরো ধানি জমি দান করেছিলেন সে জমিটুকু আবার নিজ প্রয়োজনেই তিনি বিক্রি করে দেন। এবং কেও কেও এও জানান, সালাম তালুকদার নাকি সভাপতি পদের জন্য জমি দানের নাটক করেছিলেন! তাই সভাপতি পদ পাওয়ার পর ঐ জমি বিক্রি করে দেন।
অন্যদিকে কমিটির কর্তাব্যক্তিরা রাস্তার পাশের চাষযোগ্য মসজিদের মুল্যবান জমিগুলো বিক্রি করে দূরের বন্দে কম টাকায় অনুর্বর জমি কিনে অবশিষ্ট ফান্ডের টাকা মনমর্জিমত ব্যবহার করে আসছেন। এতসব অনিয়মের দ্বন্দে আঃ মন্নান কমিটিকে অবগত করেন যে, হাফিজি মাদ্রাসার জন্য তার দানকৃত জমিতে যেন হাফিজখানাই নির্মাণ হয়, অন্যতায় বিক্রির পায়তারা করলে তিনি তার জমি ফেরত চাইতে বাধ্য হবেন।
আর তখনই দাতাসদস্য মরহুম ছমদ মিয়ার সন্তান আঃ মন্নানের সাথে মসজিদ কমিটির দ্বন্দ জুলুম নির্যাতনে রূপ নেয়! আঃ মন্নানের বাড়ির রাস্তার মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন মসজিদ কমিটি! অথচ বিনিময় সম্পত্তির রের্কডের সব সম্পত্তিই বিনিময় গ্রহীতাই মালিক এই যু্ক্তিতে সুবিচারের প্রত্যাশায় ন্যায়ের পক্ষে কথা বলার জন্য সমাজের সবার কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন আঃ মন্নান।
সর্বশেষে দাতাসদস্য আঃ মন্নান তার অভিযোগ পত্রে প্রস্তাব রাখেন, মসজিদের সকল প্রকার সায় সম্পত্তি ক্রয় বিক্রয়ে এবং ফান্ড রক্ষনা বেক্ষনে সবার সম্মতিক্রমে গৃহিত পদক্ষেপই কেবল চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হইতে হবে।
দ.ক.সিআর.২৪