1. live@kaalnetro.com : Bertemu : কালনেত্র
  2. info@www.kaalnetro.com : দৈনিক কালনেত্র :
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৫ অপরাহ্ন

ডিম মাংসের পর নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে পাঙাসও

কালনেত্র প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১১২ বার পড়া হয়েছে

লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি ফিরছে না কোনো কিছুতেই। পাল্লা দিয়ে দাম বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুর। ডিম, মাংসের পর এবার বেড়েছে ‘গরিবের মাংস’ খ্যাত পাঙাসের দাম। সেই সঙ্গে অন্যান্য মাছের দামও বাড়তি।

হঠাৎ করে সব কিছুর দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে কিছুই বলতে পারছেন না বিক্রেতারা। এদিকে দ্রব্যমূল্যের এই উর্ধ্বগতির বাজারে কোনোরকম খেয়ে-পড়ে ঘর সংসার চালানো পরিবারগুলোতে বাড়ছে অস্বস্তি, কমছে সুখ-শান্তি।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে পাঙাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়, যা সাধারণত ১৭০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়ে থাকে। এ ছাড়াও আজকের বাজারে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত, যা সাধারণত ২৮০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যেই কিনতে পারা যায়। শুধু পাঙাস আর রুই মাছই নয়, দাম বেড়েছে তেলাপিয়া, পাবদা, চিংড়ি, ইলিশসহ প্রায় সব ধরনের মাছেরই।

সাধারণত মাছের বাজার ঘুরে পাঙাস-তেলাপিয়া মাছেই স্বস্তি মিলতো মধ্য ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষের। তবে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আজকের বাজারে তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা পর্যন্ত, যা সাধারণত ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে থাকে। এ ছাড়াও বাজারে চাষের কৈ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০, কার্প জাতীয় মাছ ৩৫০-৩৮০, চাষের শিং ৪০০ টাকা, পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ থেকে ২৫০০ টাকায়।

এদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় মাছ-মাংসের দাম তুলনামূলক বেশি চাওয়াতে বাজারে বিক্রেতাদের সঙ্গে তর্কে জড়াচ্ছেন ক্রেতারা। ক্রেতারা বলছেন, একের পর এক জিনিসের দাম বাড়ছে। প্রথমে বাড়লো ডিমের দাম, এরপর মুরগির দাম আর এখন বেড়েছে সব ধরনের মাছের দাম। তাহলে আমরা কী খেয়ে বাঁচবো? বাসায় তো খালি হাতে ফেরা যায় না। এদিকে আমাদের আয়-রোজগারও বাড়ে না। এভাবে কি দিনের পর দিন চলতে পারে?

তিনি বলেন, আমরা যারা গরীব মানুষ, আমরা চাইলেই গরুর মাংস খেতে পারি না। মুরগির মাংসের দামটাও কিছুদিন যাবত বেশি। এ অবস্থায় মাছটাই ছিল আমাদের একমাত্র অবলম্বন। কিন্তু এখন যে হারে দাম বাড়ছে, মাছ খাওয়াও ছেড়ে দিয়ে শুধু ভর্তা-ভাতই খেতে হবে।

 

বাজার করতে আসা এক ক্রেতা বলেন, দিনের পর দিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কারণে মাসের খাবার খরচ বেড়েছে। কিন্তু আমাদের আয় তো বাড়েনি। ছোট একটা চাকরি করে আগে যা বেতন পেতাম, এখনও তাই পাই। কিন্তু যেভাবে সবকিছুর দাম বাড়ছে, তাতে আমাদের মতো মানুষদের কিছুই কিনে খাওয়ার উপায় নেই।

 

এদিকে বিক্রেতারা দাম বৃদ্ধির কারণ নিয়ে কিছু বলতে না চাইলেও কেউ কেউ বলছেন, সম্প্রতি বন্যার কারণে অসংখ্য মাছ চাষি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এমনকি এই কারণে বাজারে মাছের চাহিদাও বেশি। ফলে দামও কিছুটা উর্ধ্বমুখী। এক মাছ ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে মাছের বড় একটা অংশই আসে ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর এলাকা থেকে। কিন্তু কয়েকদিন আগেই সেসব এলাকায় বন্যার কারণে বেশকিছু চাষিদের মাছ ভেসে গেছে। ফলে বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় মাছের দাম কিছুটা বাড়তি।

 

বিক্রেতারা আরও বলেন, ইলিশের মৌসুম থাকায় জেলেরা এখন সাগর-নদীতে অন্যান্য মাছ ধরতে চায় না। ইলিশের ভালো দাম থাকায় সবাই এখন ইলিশের পিছনে ছুটে। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যেই ইলিশ ধরা বন্ধ হলে মাছের বাজারও স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

দ.ক.নিত্যপণ্য-২৪

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© 𝐰𝐰𝐰.𝐤𝐚𝐚𝐥𝐧𝐞𝐭𝐫𝐨.𝐜𝐨𝐦
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট