➖
গ্রীষ্ম-বর্ষা ও শরৎ ঋতু জুড়ে ওষ্ঠাগত গরম যেন খেলায় মেতেছিল। এতে ভোগীয়ে তুলেছিল প্রাণপ্রকৃতিকে। এ হাঁসফাঁস প্রকৃতি থেকে স্বস্তি মেলাতে শরৎ বিদায়ে হেমন্তের দুয়ারে শিশির ভেজা ভোর, ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো সকাল আর হিম শীতল বাতাস জানান দিচ্ছে আগাম শীতের পদধ্বনি। বলা হচ্ছে চুনারুঘাটের প্রকৃতিতে আগেভাগে নেমে পড়া শীতের কথা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিগত কয়েক দিন ধরে ভোরের আকাশে হালকা কুয়াশার পাশাপাশি শুক্রবার হঠাৎ ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পরে মাঠ-প্রান্তর ও পথ ঘাট। ভোরের আকাশে রক্তরাঙা আলো ফুটতেই দূর্বা ঘাস, মাকড়সার জালে আটকে থাকা শিশির বিন্দুগুলোও যেন মুক্তার দানার মতো দ্যুতি ছড়াচ্ছে।প্রকৃতির কারিগর মাকড়সা যে জাল বুনেছে তাতে শিশিরবিন্দু জমে যেন কোন সুন্দরীর খোঁপায় এক অসাধারণ অলংকার গড়ে তুলেছে। পাশাপাশি সবুজ ধানের পাতাগুলো ভিজে উঠছে স্নিগ্ধ নীহারে। সূর্যের বর্ণচ্ছটায় শীষের ডগায় নুয়ে পড়া কাঁচের মত শিশির বিন্দুগুলো যেন প্রতিবিম্ব হয়ে উঠছে সবুজ প্রকৃতিতে। আগাম শীতের মায়াবী প্রকৃতির এমন অবয়ব এরই মধ্যে যেন বিমুগ্ধ করতে শুরু করেছে সবাইকে।
অপরদিকে সকালের ঘন কুয়াশার ধুম্রুজাল আর উত্তর থেকে থেকে ধেয়ে আসা শিরশিরি বাতাস সমস্ত শরীর জুড়ে শিহরণ তুলছে। সকালের নরম রোদের আবেশ। বিকেল ৫টা গড়ালেই পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়ছে সূর্য। গোধূলি লগ্নের রাঙা সূর্য সবাইকে রোমাঞ্চিত করে জলদিই নামিয়ে দিচ্ছে সন্ধ্যা। শেষ রাতের হিম শীতল বাতাস কাঁটা দিচ্ছে শরীরে। এসময় গায়ে চাপাতে হচ্ছে হালকা কাঁথা-কম্বল। সব মিলে শরৎ বিদায়ে হেমন্তের হাত ধরেই আসছে শীত। বিদায় নিয়েছে দেবী দুর্গাও।
রাজার বাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালযের প্রধান শিক্ষক বলেন, বাংলা বর্ষপঞ্জিতে কার্তিকের পর অগ্রহায়ণ পেরিয়ে পৌষ-মাঘ শীতকাল ধরা হলেও এবার আশ্বিন মাস শেষে কার্তিকের দুয়ারে শীত শীত অনুভূত হচ্ছে। শেষ রাতে ঘরের সিলিং ফ্যানের রেগুলেটর ঘুরিয়ে কমিয়ে রাখাসহ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এই বুঝি দুয়ারে এলো শীত।
চুনারুঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ভোরের ঘন কুয়াশা আর শিশির সিক্ত সকাল দেখে মনে হয় এ জনপদে এবার আগে ভাগে শীতের আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পারদও কমছে। এতে সকাল ও মধ্যে রাতে একটু ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব অনুভূত হচ্ছে।
দ.ক.ঋতু