➖
বিশেষ প্রতিনিধি◾
হবিগঞ্জের সীমান্ত এলাকার বিশিষ্ট বাজার ব্যবসায়ী হাজী সিরাজ মিয়াকে বৌষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন বিরোধী মামলায় গ্রেফতার করেছে চুনারুঘাট থানা পুলিশ।
আর এই খবরটা কেও একজন ছবিসহ ফেসবুক পোস্টে জানান- ৫ আগস্টের মামলায় সিরাজ মিয়া চুনারুঘাট থানায়! তারপর শুরু হয় কমেন্ট, শেয়ার আর সমালোচনামুলক পোস্ট। তবে অধিকাংশরাই পোস্টেই যে কথাটা বেশি এসেছে সেটা হলো- “প্রতিহাংসার রাজনীতির শিকার হাজী সিরাজ”
মামলার এজহারে জানা যায়- বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রীজ এলাকায় আন্দোলনকারী ছাত্র জনতার উপর হামলা হয়। এঘটনায় ব্যারিষ্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে প্রধান আসামী করে আওয়ামীলীগ ও অংগ সংগঠনের ৯৮ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলায় ৬৬নং আসামী আসামপাড়া বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব সিরাজ মিয়া!
গতকাল ২৬ অক্টোবর চুনারুঘাট থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। এ মামলায় আলহাজ্ব সিরাজ মিয়া গ্রেফতার হওয়ায় বিরোধী দলগুলোর প্রতি সোস্যাল মিডিয়ায় তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠে।
সিরাজ মিয়ার প্রেফতারে গাজীপুর হাইস্কুলে এন্ড কলেজের শিক্ষক আক্তার হোসেন তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন- অহেতুক হয়রানী মূলক মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানাই। তিনি রাজনৈতিকভাবে কোন পদ পদবীতে ছিলেন না, তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ। অনতিবিলম্বে তার মুক্তি চাই।
এই নিয়ে আসামপাড়া বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়িক ইউছুব খান লেখেন- সিরাজ মিয়া আমাদের বাজারের একজন প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী, উনাকে কোনদিন সক্রিয়ভাবে কোন রাজনৈতিক দলের মিটিং মিছিলে কেও দেখেনি, ষড়যন্ত্রেমুলক গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানাই।
এছাড়াও চুনারুঘাট পৌরসভার ওয়াল্টন শোরুমের স্বত্বাধিকারী জবাব হাবিবুর রহমান রুবেল তার ফেইবুকে লেখেন- মিথ্যা মামলা দিয়ে আসামপাড়ার ব্যক্তিত্ববাব মানুষটাকে একজন প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ি ও সুপরিচিত খ্যাতিমান ব্যক্তিমানুষটা উদ্ধেশ্যমুলক ভাবে এই মামলায় ঢুকানো হয়েছি।
নিরাপরাপ সিরাজ মিয়া মামলার লিস্টে নিজের নাম জেনেও বিচলিত না হওয়ার কারণ হিসাবে জানান, তিনি নিজের সততায় আত্মবিশ্বাসী আমি। তাই কেও পয়সা খামানোর উদ্ধ্যেশেআমার নাম দিলেও এই নিয়ে রফাদফায় যাইনি কারণ সত্য। আর সত্যের মৃত্যু নাই, শুনে ও বিশ্বাস করে আসছি।
থানায় স্বজন ও ব্যবসায়িগন স্বাক্ষাতে লেগে, তিনি সবার কাছে শুধু দোয়া চেয়েছেন, কোনো টেনশন বা তদবিরের অপচেষ্টা যেন ভুলেও কেও না করে, এমন দৃঢ় মনোবলে অনড় তখন তিনি।
দ.ক.পলিটিক্স