➖
আব্দুর জাহির মিয়া◾
চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের (সহকারী) সুমনের বিরুদ্ধে গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সি-এ সুমন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্নীতিবাজ প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ও আওয়ামী দোসরদের দাপট দেখিয়ে একনায়কতান্ত্রিক পদ্ধতিতে উপজেলা পরিষদের সার্বিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতেন।
বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, আওয়ামী লীগ আমলে বিপুল অর্থের বিনিময়ে চাকরি নেওয়া ওয়াহিদুল ইসলাম ওরফে সিএ সুমন উপজেলার বিভিন্ন বরাদ্দ নামে বেনামে তছরুপ করেছেন। বিভিন্ন প্রশিক্ষণের অর্থ ভূয়া মাস্টাররোলের মাধ্যমে লুটে নিতেন।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার সাথে সুমনের ছিলো ব্যাপক সখ্যতা। এর প্রভাব ব্যবহারের মাধ্যমে তার আপন বড় ভাই তাজুল ইসলামকে আকষ্মিকভাবে চুনারুঘাট উপজেলার ৪ নং পাইকপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি পদে মনোনীত করা হয়।
এদিকে জানা যায়, সদ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত চুনারুঘাটের ছাত্রলীগ ক্যাডার সাজিদ ছিল তার পালিত মাস্তানদের একজন। তাকে ব্যবহার করে উপজেলা পরিষদে যাওয়া মানুষদের দিয়েছেন হুমকি-ধামকি দেখিয়েছেন ভয় ভীতি। বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় চুনারুঘাট উপজেলা প্রশাসনের অফিসগুলোতে ছিল তার অঘোষিত দাপট, সি-এ সুমন যা বলতো তাই যেন অফিস গুলোতে ফলতো।
এদিকে, উপজেলার বিভিন্ন বড় কাজের টেন্ডার দাপট ও প্রভাব দেখিয়ে নিজ ভাই ও আওয়ামী লীগ নেতাকে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। নিজে বিভিন্ন জনের লাইসেন্স ব্যাবহার করে কাজ নিয়ে যেয়ে সেই লাইসেন্সকৃত মালিকদের কাছ থেকে নিতেন মোটা অংকের টাকা। নিজ গ্রামের বাড়ির পাশের হাতপারিয়া কবরস্তানের রাস্তার নামে কয়েকবার বরাদ্দ নিলেও উন্নয়ন হয়নি সেই রাস্তার।
উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় স্ট্রীট লাইট রাস্তায় বরাদ্দ থাকলেও সেই স্ট্রীট লাইট নিজে প্রভাব খাটিয়ে নিয়েছেন নিজের বাবার কবরে।
প্রকৃত কৃষকদের ৭০০ বর্গফুট টিউবল না দিয়ে নিজের এলাকায় বিভিন্ন মানুষের নাম ব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়েছেন অনেক টিউবল। নামে বেনামে দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়েছেন সৌর বিদ্যুতের প্যানেল। এখানেই যেন শেষ না- সি এ সুমন সে পরিণত হয়েছে এক মুকুট বিহীন সম্রাট। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে উপজেলার বিভিন্ন অর্ধশিক্ষিত মেয়েদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন, এবং চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ। এ যেন আরেক কালো বিড়াল। তার ফেসবুক প্রোফাইল ঘুরে দেখা যায় সাবেক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা জাকির হোসেন ও বাংলাদেশের অত্যন্ত সমালোচিত ব্যক্তি ও হাসিনার ডান হাত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিকী ছবির সাথে তার ছবি। এখানে থেমে থাকেননি সি-এ সুমন হয়েছেন কোটি কোটি টাকার অর্থ বৃত্তের মালিক। যা তদন্ত করতে গেলে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপের মতো বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন সাধারণ জনগণ।
দ.ক.সিআর.২৪