➖
সম্পাদকীয়◾
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) বাংলাদেশের একটি জাতীয় সংবাদ সংস্থা। বাসস এর প্রধান কাজ হলো, দেশ বিদেশের নানান গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ সংগ্রহ করে গণমাধ্যমে সারা দুনিয়ার মানুষের কাছে সেই খবর প্রচার করা। অথচ বাসস’র সাধ্য খুবই নাজুক। দেশের ভিতরে হাতে গোনা কিছু গণমাধ্যমকে খবর প্রদান করলেও এই মূহুর্তে বাসসের বিদেশে কোন গ্রাহক নেই বলে মত দেয় সূত্রগুলো!
সারা বিশ্বে সংবাদ সংস্থাগুলো মূলত গ্রাহকদের কাছে খবর বিক্রি করা আয়ে চলে; কিন্তু এই খাত থেকে বাসস এর আয় নেই বললেই চলে। সরকার নিজের পকেট থেকে টাকা দেয় আর বাসস চলে- এই হলো নীতি। এইভাবে আর কতো দিন! বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসস ১৯৭২ সালের ১লা জানুয়ারী থেকে প্রতিষ্ঠাকালিন কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। শুরুতে স্বল্প পরিসরে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে ব্যুরো নিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে রাজশাহী, রাঙামাটি এবং সিলেটে বাসসের ব্যুরো অফিস রয়েছে। এমনকি দেশের সকল প্রশাসনিক জেলাতেই এই জাতীয় সংবাদ সংস্থার রয়েছে সংবাদদাতা।
আগের হিসাব বাদ। এখন আমাদের মাহবুব মোর্শেদ নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক হিসাবে গত ১৭ আগস্ট ২০২৪ থেকে ২ বছরের মেয়াদে বাসসের দায়িত্বে আছেন। উনাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল আপনি বাসসে কী করেছেন? তিনি জানান, বাসসে আমি প্রায় ৭৫ দিন কাজ করেছি। এই সময়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ ও আহতদের নিয়ে প্রায় ২০০ স্টোরি প্রচার করেছে বাসস। এই কাজ চলমান।
দেশ যখন চরম চ্যালেঞ্জিং জায়গায় দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রের আগামি ভবিষ্যৎ নির্মাণে ব্যস্ত ঠিক তখন বাসসের বিরাট ভূমিকা রাখতে হবে। প্রতিদিন সংবাদ পত্রগুলো আগের মতো নানান উদ্দেশ্য নিয়া খবর প্রকাশ করছে সেই সময়ে আমাদের মাহবুব মোর্শেদ ভাই যে জায়গায় স্থির এটা আসলে এই মূহুর্তে তাঁর খুব নাজুক কাজ। লোক হাসানোর মতো একটা দিক! আশা করছি, উনি বিষয়টা উপলব্ধি করবেন এবং কী করা উচিত সেই পথে হাঁটবেন। স্টোরির সংখ্যা দিয়া কাজের মূল্যায়ন হয় না!
শেষ কথা হলো, আমরা মাহবুব মোর্শেদ এর উপর আস্থা হারাই নাই। বাসসের প্রতিও না৷ আমরা চাবো, তার হাত ধরে বাসস আগাইয়া যাক। পাশে আছি সবাই, আপনি কাজ করুন।
দ.ক.সিআর.২৪