এফ এম খন্দকার মায়া, চুনারুঘাট◾
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় দেওন্দি চা বাগান কর্তৃপক্ষের সংরক্ষণ উপেক্ষা করে সবুজের বুকে মায়াবী শাপলা বিল যেন ঘাতক পর্যটকদের হাতে প্রায় বিলুপ্ত হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে স্ব শরীরে পরিদর্শন করে এ চিত্র দেখা যায়। গেল (১৩ নভেম্বর) "ফুল ছিঁড়ছেন পর্যটক, মুগ্ধতা হারাচ্ছে চুনারুঘাটের শাপলা বিল" হবিগঞ্জে প্রচারিত দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা আক্তারের বক্তব্যের জেরে চা বাগান কর্তৃপক্ষ গাছ, বাঁশ দিয়ে ভেড়া দেওয়ার পাশাপাশি চৌকিদার বসিয়েও শাপলা বিলের সৌন্দর্য ও পরিবেশ সংরক্ষণ করতে উদ্যোগ নেয় বলে জানা যায়।
কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। সকাল ও বিকালে উপছে পড়া পর্যটকদের আগমন ও ঘাতক পর্যটকদের শাপলা ফুল ক্রয় করার ফলে প্রায় অল্পতেই সৌন্দর্য হারানোর পাশাপাশি বিলুপ্তির উপক্রম হয়ে পড়েছে এ মায়াবী শাপলা বিল।
মুগ্ধতা ছড়ানো দুটি কুঁড়ি একটি পাতা চা বাগানের বুক জোড়ে শীতের আগমনে মায়াবী সৌন্দর্যে ভেসে উঠেছিল শাপলার বিল। এ বিল নিয়ে দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও সাড়াও পড়ে জেলা জোড়ে। পরবর্তীতে গণমাধ্যম ফেইসবুকে পর্যটকদের আগমন নজর কারে ব্যাপক। এরপর থেকেই পর্যটকদের কেন্দ্র করে স্থানীয় কিছু কিশোর আশেপাশের শাপলা ফুল ও সুযোগে বিলের শাপলা ছিঁড়ে অতিউৎসাহী ঘাতক পর্যটকদের হাতে ২০/৩০ টাকা হারে মোটা বিক্রি করতে শুরু করে। ফলে আড়ালেই বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে এ শাপলা বিলের।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাইরুন আক্তার জানান, শখ করে পার্শ্ববর্তী সৌন্দর্য ও মুগ্ধতা পরিপূর্ণ দেওন্দি শাপলা বিল দেখতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ফুল নেই, মুকুল আছে বলে আক্ষেপ করেন তিনি।
এছাড়াও সচেতন ব্যক্তিগণ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত পর্যটকদের বিলের শাপলা ফুল দেখতে এসে ছেঁড়া ফুল কেনাবেচা খুবই দুঃখজনক। আমাদের মনে হয় তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত।
দ.ক.মায়া