➖
কালনেত্র প্রতিবেদক◾
শীতের খেলা ব্যাডমিন্টন। শিশির মাখা শীতে গোধূলি বেলার লগ্নতে, যখন সূর্যের তেজ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে, ঠিক তখনই হিমেল হাওয়া গায়ে মাখিয়ে উষ্ণতার খোঁজে কাঁপতে কাঁপতে সকলে চলে আসে নিজেদের তৈরি করা কোর্টে। শীতে যেমন গরম কাপড়চোপড় হয়ে উঠে প্রধান অনুষঙ্গ, ঠিক তেমনি আরও এক অনুষঙ্গ এই ব্যাডমিন্টন।একবার, হাতে র্যাকেট উঠিয়ে শুরু করতে পারলেই হলো। এরপর কোথায় যায় শীত, কোথায় যায় জড়তা।
এদিকে ব্যাডমিন্টন খেলার গায়ে 'শীতকালীন খেলা'র তকমাটা কিন্তু বেশ ভালোভাবেই লেগে আছে। আর সন্ধ্যে হলে-তো কথাই নেই। দুপাশে বাঁশের সঙ্গে বোর্ড ঝুলিয়ে লাগানো, ডজন খানেক লাইটের উজ্জ্বল আলোতে র্যাকেট এবং শাটলককের ঠাশ ঠাশ শব্দে মুখরিত হয় চারপাশ। শুরু হয় যেন ব্যাডমিন্টন খেলার আসল আমেজ। ছেলে-মেয়ে, তরুণ-তরুণী, বৃদ্ধসহ সকলেই যেন খেলায় আনন্দে মেতে উঠে।
এছাড়া ব্যাডমিন্টন খেলার সূত্রপাত ঘটে আজ থেকে প্রায় শোয়াসো বছর পূর্বে। ইংল্যান্ডের গ্লুচেষ্টারশায়ার রাজ্যেও ব্যাডমিন্টন নামক গ্রামের ব্যাটেরডোর হলে ১৮৭৩ সালের একবৃষ্টি ভেজা দিনে এ খেলা হয়। এরপর থেকে এখানে নিয়মিত খেলা হত এবং উৎসুক দর্শকরা আগ্রহ সহকারে এই খেলা উপভোগ করত। এভাবে ধীরে ধীরে খেলাটি বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এদিকে বৃষ্টি ভেজা দিনের খেলা হিসেবে ব্যাডমিন্টন এর যাত্রা শুরু হলেও, বর্তমানে শীত আগমনের অন্যরকম এক বার্তা বয়ে আনে এই খেলাটি।
র্যাকেট আর ফেদারের শব্দ যদিও রাতের নিস্তব্ধতা গ্রাস করে ফেলে, তবু এই চিত্র কিন্তু পুরো শহর জুড়েই নয়। মৌসুমি খেলা হিসেবে ব্যাডমিন্টন বেশ জনপ্রিয়তা পেলেও, কোথাও না কোথাও ফুটে উঠে যেন এর ভিন্ন চিত্রও। এরসাথে শুনতে হয় নানান সমস্যার কথাও। এছাড়া শহুরে জীবনে একটু খোলা পরিবেশে হাঁটার জায়গাই যেখানে নেই, সেখানে ব্যাডমিন্টনের জোগাড়যন্ত্র করাটাও বেশ কঠিন। নগরায়ণ, আধুনিকতা, প্রযুক্তির ব্যবহারে খোলস-বন্দি হয়ে পড়লেও বরং শীতকাল আসলেই এই খেলাটি সব খেলাকে ছাপিয়ে যায়। পরিসরটা খুব অল্প হলেও সকলেই যেন ভাগাভাগি করে নিতে চায় মৌসুমি খেলার সবটুকু আনন্দ।
দ.ক.সিআর.২৪