➖
আহমেদ মুসাহিদ◾
গতকাল তিন বাহিনী আয়োজিত অনুষ্ঠানে যেভাবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস থেকে শুরু করে বৈষ্যম বিরোধী আন্দোলনের শীর্ষ সম্বনয়ক সার্জিস হাসনতা হতে জামায়াত ও খেলাফতের নেতৃবৃন্দরা উনার সাথে সম্মান রেখে কথা বললেন, মনে হল বেগম জিয়া যেন সবারই অভিভাবক, পারতপক্ষে দেশের'ই মহিমান্বিতা মাতৃ ছায়া বলে বিবৃতি দিয়েছেন অনেকেই। সমালোচকরা বলেছেন, বেগম জিয়া যে সম্মানে ভূষিত হয়েছেন, এটা উনার প্রাপ্য ছিল।
ঘটনা চক্রে স্বামীর অবর্তমানে রাজনীতির আপোষহীন নেত্রী, দেশের ফাস্ট লেডি থেকে দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী।
কিন্তু দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে ভাষার শালীনতা আর ভদ্রতার সীমা অতিক্রম করে দেশের মধ্যে বিভাজন আর ব্যাক্তির সম্মানহানি করে কথা বলেননি কখনো। ডানবাম, ইসলামপন্থী, জাতীয়তাবাদী মতাদর্শ সবাইকে নিয়েই উনি রাজনীতি করেছেন। প্রধানমন্ত্রী পদের অসম্মান হবে এমন কোনো কথাও বলেননি তিনি। প্রধানমন্ত্রী পদের যে একটা ভাবগাম্ভীর্য থাকে, এটা বজায় রেখেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। রাষ্ট্র পরিচালনায় উনার ব্যার্থতা নেই, এটা আজকের আলোচ্য বিষয় না, আলোচ্য বিষয় হল, একজন আত্মমর্যাদাবান লোকের, যিনি ক্ষমতার সর্বোচ্চ আসনে একাধিকবার থেকেও অন্যদের মত হিংস্রতা দেখাননি। মানুষ মারার রাজনীতি করেননি। দেশের প্রশ্নে তিনি আপোষহীন ছিলেন। এভাবেই নিজেকে অন্যমাত্রার ব্যাক্তিত্বের অধিকারী বানিয়ে আজকে যেন সবার অভিভাবকের পর্যায়ে চলে গেছেন দেশনত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
দোয়া করি, আল্লাহ যেন এই মহান মানুষটিকে সুস্থ্যতার সাথে নেক হায়াত দান করেন।
আহমেদ মুসাহিদ
সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী
দ.ক.সিআর.২৪