➖
কালনেত্র প্রতিবেদক◾
মফস্বলের একটা শহরের পাঁচ তলা দালানের সিড়ি ঝাড়ু দেয়ার কাজ করেন সায়রা বেগম। গাঁয়ের রং ফর্সা, কিন্তু সম্ভবত অনেক ধরণের লাইফ ষ্টাইল ডিজিজেও আক্রান্ত। আমার সাথে সিড়ির নীচ তলাতে দেখা, আমি একটু দাড়ালাম মাত্র, কোন কথা না বলেই এই বাড়ির মালিক ও ফ্ল্যাটে বসবাস কারীদের আচরণ নিয়ে সে দু:খ প্রকাশ করলো। সেও তো মানুষ, তার সাথে ভালো আচরণ করলে ক্ষতি কি? কয়েকটা বাসাতে কাজ করে সায়রা বেগম, আসতে যেতে একটু আধটু সময়ের হের ফের হলেই বকঝকা। আর দিনের পর দিন কাজ বাড়ছে। অথচ চোখের সামনে বসে খাচ্ছে, একবার তাকে সাধেও না।
প্রথম স্বামী মারা গেছে সায়রার। ছেলে মেয়েরা বড় হয়ে গেছে, দ্বিতীয় ঘরে একটা মেয়ে আছে ক্লাশ ফাইভে পড়ে, এবার সিক্সে ভর্তি হবে। কিন্তু দ্বিতীয় স্বামী তাকে ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে, খোঁজ খবর নেয়না। মেয়েটাকে এবার একটা ভালো স্কুলে ভর্তী করাবে। সায়রা। চেষ্টা করবে কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে দিতে। এই মেয়েটার জন্যই তার লড়াই।
উল্লেখ্য যে, সায়রা বেগম একটা ভাতা পেত আগে, তিনমাস ধরে বন্ধ। ডক্টর ইউনুস ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভাতা বন্ধ।
আশ্চর্য সরকার সবার সবকিছু ঠিক আছে কিন্তু দরিদ্রদের ভাতাগুলো বন্ধ কেন? কার কাছে প্রশ্ন করবো?
দ.ক.সিআর.২৪