➖
মোঃ শফিকুল ইসলাম
রংপুর বিভাগীয় প্রধান◾
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ফেসবুকে সম্পর্ক তারপর প্রেম একপর্যায়ে কুমিল্লা থেকে প্রবাসীর স্ত্রী চলে আসেন। প্রেমিকা বিয়ের দাবি নিয়ে এসে দেখেন প্রেমিক হচ্ছে প্রতিবন্ধী ও নবম শ্রেণির ছাত্র। এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলডাঙ্গা গ্রামে।
জানা গেছে, এই গ্রামের দুলাল হোসেন দলুর প্রতিবন্ধী ছেলে হোসাইন আলী ধলডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর সাথে কুমিল্লার লাকশাম এলাকার প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে ফেসবুকে পরিচয় ঘটে। পরিচয়ের এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে গড়ে উঠে প্রেমের গভীর সম্পর্ক । পরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকা গত রবিবার ১ ডিসেম্বর দুপুরে প্রেমিক হোসাইনের বাড়িতে এসে উঠে। প্রেমিকের বাড়িতে এসে দেখেন প্রেমিক প্রতিবন্ধী ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক।
এদিকে, প্রেমিকা বিয়েতে রাজি না হলেও প্রেমিক বিয়ে করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। পরে প্রেমিকা এলাকাবাসীর সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ফোন করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস বিষয়টি ভূরুঙ্গামারী থানাকে অবগত করে এবং মেয়েটিকে উদ্ধারের নির্দেশ দেয়। খবর পেয়ে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ ঐদিন রাত ২টায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। থানায় নিয়ে আসার পর বিপাকে পরে পুলিশ। মেয়ের বাবা শফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করে মেয়েটিকে ফেরত নিতে বললে মেয়েটিকে ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করে তার বাবা। পরে মেয়েটিকে ২ দিন থানা হেফাজতে রেখে বিভিন্ন ভাবে মেয়ের অভিভাবককে বুঝিয়ে রাজি করায় পুলিশ।পুলিশ জানায়, বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ওই মেয়ের অভিভাবককে ভূরুঙ্গামারী নিয়ে এসে মেয়েটিকে তার নিকট হস্তান্তর করা হয়।সংশ্লিষ্ট ইউপি মেম্বার নজরুল ইসলাম জানান, ছেলেটি শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী এবং চোখ টেরা। মেয়েটির বিবাহিতা এবং তার স্বামী বিদেশে থাকে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি মুনিরুল ইসলাম জানান, উভয় পক্ষের সমঝোতায় মেয়েটিকে তার অভিভাবকের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
দ.ক.সিআর.২৪