নিজস্ব প্রতিবেদক
হবিগঞ্জ জেলার চুনারঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ধলাঝাই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পুলিশ কনেস্টেবল আমির হোসেন চোখের ত্রুটি গোপন রেখে পুলিশ কনেস্টবল পদে চাকরি নেওয়া তার বিরুদ্ধে পুলিশের আইজিপি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছিলেন সাংবাদিক মীর জুবাইর আলম, এ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের একটি তদন্ত টিমকে।
অভিযোগকারী সাংবাদিক মীর জুবাইর আলম জানান সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ মনজুরুল আলম গত ২৪ অক্টোবর ২৪ ইং তারিখে অভিযোগকারী সাংবাদিক মীর জুবাইর আলমকে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে সাক্ষী প্রদানের জন্য নোটিশ করেন।
সূত্রঃ স্মারক নং-এসএমপি-৪১৩৬/১(৩)/আর (কেন্দ্রীয়)
নোটিশ পেয়ে সাংবাদিক মীর জুবাইর আলমসহ স্হানীয় আরও ১১ জন লোক স্বশরীরের সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনজুর আলম এর কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সাক্ষী প্রদান করেন। এবং উল্লেখিত অভিযোগ সত্য বলে সাক্ষ প্রদান করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আমির হোসেনের লেখাপড়ায় থাকাকালিন অবস্থায় পরিবারের ভরনপোষণ করতে প্রতিদিন নিজ এলাকায় বক পাখি শিকার করতেন। এক পর্যায়ে বক পাখির আঘাতে তার এক চোখের কিছু অংশ নষ্ট হয়ে যায়। এতে চোখের অপারেশনও করা হয়েছিল তার৷। তারপরও আঘাত প্রাপ্ত চোখটি স্বাভাবিক অবস্থা থেকে কিছুটা ছোট হয়ে যায়।
উল্লেখ্য যে, বিগত ২০১৪ সালে বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এতে সে নিজেকে স্নক্ষম হিসেবে পুলিশ কনস্টেবল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসাবে চাকুরীর অগ্রাধিকার দাবী করেন।
অথচ মেডিকেল রিপোর্টে গোপন রেখে চোখের সমস্যাটি জন্মগত বলে দাবী করেন আমীর হোসেন। এছাড়াও তখন সময় মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদেরকে চাকরিতে প্রবেশে প্রাধান্য দেয়া হতো।
স্বাক্ষগ্রহন শেষে পুলিশ কমিশনার মোঃ রেজাউল করিম জানান, তথ্য গোপন করে চাকরিতে যোগদান করায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দ.ক.সিআর.২৪