ঃঃ
সিদ্দীকি হারুন, হবিগঞ্জ◾
কবি ও সাংবাদিক পার্থসারথি চৌধুরীর ৭৩ তম এবং কবি, সাংবাদিক ও সংগীত শিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর ৬০তম জন্মবার্ষিকী আজ।
প্রসঙ্গত, পার্থসারথি চৌধুরী ১৯৫১ সালের ২৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জ উপজেলার আঘনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । কৈশোর বয়স থেকেই তাঁর লেখালেখির সূচনা হয়। যৌবনে তিনি বামপন্থী ছাত্ররাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংগঠক হিসেবে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের নাম ‘বসন্তে বৈশাখ’ও ‘শিরিষতলার গাথা’ । প্রবন্ধগ্রন্থ ‘কাণ্ডকারখানা’।
এছাড়াও অনেক গল্প, উপন্যাস লিখেছেন তিনি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। জীবনের দীর্ঘ সময় তিনি সিলেটের দৈনিক যুগভেরী, হবিগঞ্জের সাপ্তাহিক স্বাধিকার, সাপ্তাহিক সমাচার, সাপ্তাহিক স্বদেশবার্তাসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়
সাংবাদিকতা করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক কলাম ও কবিতা লিখেছেন।
একই তারিখে সঞ্জীব চৌধুরী ১৯৬৪ সালে বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সঞ্জীব চৌধুরী ছিলেন একাধারে একজন সাংবাদিক-গায়ক-সুরকার ও গীতিকার। জনপ্রিয় ব্যান্ড দলছুটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট গঠনে রয়েছে তাঁর অবদান।
৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ছিল তার সক্রিয় অংশগ্রহণ। সে সময় প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সঞ্জীব চৌধুরী গলায় হারমোনিয়াম ঝুলিয়ে তাৎক্ষণিক গান লিখে সুর দিতেন আর দলবল নিয়ে রাজপথ কাঁপাতেন কোরাস গান গেয়ে।
ফিচার সাংবাদিকতার ধারা বদলে দেওয়া সঞ্জীব চৌধুরীর সাংবাদিকতা শুরু সাপ্তাহিক ‘উত্তরণ’ পত্রিকা দিয়ে। এরপর দৈনিক আজকের কাগজ হয়ে দৈনিক ভোরের কাগজে। এরপর দৈনিক যায়যায়দিন-এর ফিচার এডিটর হিসেবে যোগ দেন।
বাপ্পা মজুমদারকে সঙ্গে নিয়ে ১৯৯৬ সালে গঠন করেন ব্যান্ড দল ‘দলছুট’ । শাহ্ আবদুল করিমের ‘গাড়ি চলে না’ গানটি গেয়ে জয় করেন সমগ্র দেশ। ‘সাদা ময়লা রঙিলা পালে আউলা বাতাস খেলে’, ‘তোমার বাড়ির রঙের মেলায়’, ‘আগুনের কথা বন্ধুকে বলি’, ‘আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিল চাঁদ’, ‘আমি তোমাকেই বলে দেব’, ‘রিক্সা কেন আস্তে চলে না’ প্রভৃতি অসংখ্য মনমতানো গানের স্রষ্টা তিনি।
দ.ক.সিআর.২৪