➖
শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি◾
শায়েস্তাগঞ্জ থানাধীন অলিপুর এলাকায় ২৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে অভিযান পরিচালনা করিয়া পেনালকোড তদন্তে প্রাপ্ত ঘঠনার সহিত জড়িত আসামী ১) রাসেল মিয়া, পিতাঃ জলিল মিয়া, অলিপুর, শায়েস্তাগঞ্জ ২) রহমত আলী (৪১), পিতা- তৈয়ব আলী, সানাবই, শায়েস্তাগঞ্জদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়। তাহারা জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
এছাড়াও শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপর ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৩ ডাকাতকে আটক করে থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলো- ১) শায়েস্তাগঞ্জের অলিপুর গ্রামের মৃত জলফু মিয়ার পুত্র মো: স্বপন মিয়া (২৩), ২) হবিগঞ্জ সদরের সুঘর এলাকার কদ্দুছ মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া (৩২), ৩) সিলেট ওসমানীনগরের থানাগাও এলাকার আলাই মিয়ার পুত্র সুজন মিয়া (২২)
তাহাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি লম্বা ছোরা, যাহা কাঠের হাতল সহ লম্বা ২৮ ইঞ্চি, ১টি বড় রামদা, যাহা কাঠের হাতল সহ লম্বা ২৫ ইঞ্চি, ১টি ছোরা, যাহা কাঠের হাতল সহ লম্বা ২৪ ইঞ্চি এবং ঘটনাস্থলে অপরাপর ডাকাতদের ফেলে যাওয়া ১টি বড় রামদা, যাহা কাঠের হাতল সহ লম্বা ২৩ ইঞ্চি এবং ১টি ছোট ছুরি, যাহা হাতল সহ লম্বা ৯.৬ ইঞ্চি এবং ডাকাতদের ব্যবহৃত ২টি লাল মোটরসাইকেল এসআই মোঃ জহুরুল ইসলাম সহ সংঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় ২৮ ডিসেম্বর রাত ০২.৩০ ঘটিকার সময় জব্দ করেন।
পরবর্তীতে এসআই জহুরুল ইসলাম শায়েস্তাগঞ্জ থানায় এজাহার দায়ের করিলে ধারা-৩৯৯/৪০২ পেনাল কোড রুজু করা হয়।
আসামী ফারুক আহমদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মোট ১৯ টি, আসামী স্বপন মিয়ার নামে মোট ১৬ টি এবং আসামী রাসেল মিয়ার নামে মোট- ০৫ টি মামলা তদন্তাধীন ও বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাত স্বপন ও তার সঙ্গীরা জানায় যে, তারা প্রায়ই বিভিন্ন ডাকাতচক্রের লোক নিয়ে এসে সংঘবদ্ধভাবে ডাকাতি করে মালামাল লুট করে নেয়।
আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হইয়াছে।
দ.ক.সিআর.২৪