➖
নিজস্ব প্রতিনিধি◾
চুনারুঘাট উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর গ্রামের জনাব মানিক হাজী সাহেবের ছেলেদের পরিবারে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। একে অন্যের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুকে শুরু হয় ভাইয়ে ভাইয়ে অসদাচরণ।
জনাব মানিক হাজী সাহেবের ৮ ছেলের মধ্যে বিল্লাল মিয়া ৪র্থ। থাকেন বাহরাইন। বিল্লাল মিয়ার কাছে অনৈতিক সুবিধা চাওয়াসহ বেশ কিছু অভিযোগ ওঠে ছোট ভাই ফয়সল মাহমুদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় বড় ভাই বিল্লাল মিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে থানায় জড়ো হন বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী। এমনকি সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব লিয়াকত হাসান সাহেবও থানায় উপস্থিত ছিলেন।
তারা জানান, ফয়সলের বিরোদ্ধে কোনো অভিযোগ সত্য নয়। সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। ব্যক্তিগত রেষারেষির কারণে এক ভাই আরেক ভাইকে পরাস্থ করার জন্য থানায় জিডি ও ফেসবুকে অপপ্রচার করা হয়েছিল।
এমন মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে মানসিকভাবে অস্বস্তিতে ছিলেন ফয়সল আহমেদ। এ ঘটনায় তাঁর পরিবারকেও হেয় হতে হয়েছে বলে জানান ফয়সল আহমেদ এর অন্যান্য ভাইয়েরা।
ফয়সল মাহমুদ বলেন, ‘বিল্লাল ভাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথাগুলো ভাইরাল করেছে। সেটি সবার কাছে নানাভাবে ছড়িয়েছে। কিন্তু সেগুলো সবই ছিল মিথ্যা। এটা সাংবাদিকদের তদন্তেই প্রমাণিত হয়েছে।
আমার কথা হলো, সাধারনত ফেসবুকে লোক যা বলে, সেটিই আমরা সত্য মিথ্যা যাচাই না করে অনেক সময় বিশ্বাস করি, মিডিয়ায় কাভার করি। দেখা যায়, অনেক মিডিয়াই জাস্টিফাই না করে খবর প্রকাশ করে। এতে একজন ব্যক্তির কারণে অন্যজন যে বাজেভাবে অসম্মানিত হন, এটা কি আমরা জানি না? আমার কথা যদি বলি, একজন ভাই হিসেবে বিল্লাল ভাইয়ের মিথ্যা অভিযোগ বাজেভাবে আমাকে মানহানি করেছে। এটা আমার পরিবারের ওপরও প্রভাব ফেলেছে।
আরও বলেন, ‘এ ঘটনা আমার জন্য সামাজিক ক্রাইসিস তৈরি করেছিল। তবে বিল্লাল ভাইকে সম্মান করে আমি কোথাও কোনো বাজে মন্তব্য করিনি। এখনো বলছি না; কিন্তু অকারণে মিথ্যা মন্তব্য কারও ব্যাপারে সে করতে পারে না। এখন বিল্লাল ভাইয়ের উচিত ফেসবুকে বলা, থানায় দায়ের করা বিষয়টি মিথ্যা। এখন কেন সে বলছে না মাদক ব্যবসার বিষয়টি মিথ্যা ছিল? এটা কত বড় অভিযোগ, যার বিরুদ্ধে করা হয় সে এবং তার পরিবার বুঝতে পারে।’
এ সময় মনঃক্ষুণ্ন হয়ে ফয়সল মাহমুদ আরও বলেন, ‘এই যে হুট করে একজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ, এ জন্য তো দূর্ঘটনাও ঘটতে পারতো। এর দায়ভার কে নেবে? মিথ্যা খরবগুলো তো থেকেই যাবে।
এই মিথ্যা অভিযোগের নিউজ অনেকেই শেয়ার দিয়েছে, আমি অপমানিত হয়েছি। কিন্তু এখন যখন সত্য প্রমাণিত হলো, তখন এ ঘটনার সত্যটায় কেউ শেয়ার দিল না। সবাই আমাকে ইনবক্সে অভিনন্দন জানাচ্ছে। কেন? আমি বলব, বিল্লাল ভাই যা করেছে, এটা কোনো ভাইসুলভ আচরণই না। থানায় যা হয়েছে, সেটিও ভাইসুলভ আচরণ ছিল না। পরবর্তী সময়ে আমার সম্পর্কে মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে বারবার যা বলেছে, সেসবও ভাইসুলভ আচরণ না। যে ভাইসুলভ আচরণই করতে পারে না, তার কাছে আমি সেই আচরণ প্রত্যাশাই করি না।’
এ বিষয়ে ফয়সল ও বিল্লালের পিতা জনাব মানিক হাজী সাহেব বলেন, এটা মতবিরোধের কারণে এক ভাই আরেক ভাইয়ের প্রতিপক্ষ হয়ে স্যোসাল মিডিয়ায় অশালিন কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছে। আমি মিমাংসার দাবী জানাই। এ লক্ষ্যে আগামী ৮ জানুয়ারী সৈয়দ লিয়াকত সাবের উপস্থিতিতে এর মীমাংসায় সালিশ বসবে আমাদের বাড়িতে। ইউনিয়নবাসীসহ সকলের দাওয়াত রইলো।
দ.ক.সিআর.২৫