➖
নিজস্ব প্রতিবেদক◾
সবুজ, শ্যামল, অপরুপ সৌন্দর্য্যে ভরপুর হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নে দিলিপ দাসের জন্ম। পিতা সুরেন্দ্র দাস ছিলেন গোছাপাড়া গ্রামের আমুরোড বাজারের একজন বাসিন্দা। তৎকালিন সময়ে হাতে গুনা কয়েকজনের মধ্যে সুরেন্দ্র দাস ছিলেন একজন সফল প্রবাসী ও উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি। ড. এম এ রশীদ সাহেবের সান্নিধ্যেও কিছু কাল কেটেছে উনার। এমনকি সুরেন্দ্র দাসের প্রবাস জীবনেও আছে ড. এমএ রশীদ সাহেবের বিরাট অবদান।
আমাদের দিলিপ দাস এই সুরেন্দ্র দাসেরই সন্তান। দিলিপ এর শৈশবের স্কুল রাজার বাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়। দৈনিক কালনেত্র এর সম্পাদক আসাদ ঠাকুর এর সহপাঠি সে। অতপর শিক্ষা জীবন শেষে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগে প্রথম কর্মজীবন শুরু তার । দীর্ঘ ৫ বছর পল্লী বিদ্যুতে কর্মরত থাকার পর চা বাগানে সুযোগ হয় তার স্বপ্নের কর্মজীবনের। বর্তমানে সে জেমস ফিনলে টি এন্ড ল্যান্ডস কোম্পানী বাংলাদেশ লিঃ এর হেড টিলা বাবু পদে কর্মরত আছে।
দিলিপ সনাতন ধর্মের অনুসারী। ভজন সাধনে সর্বধর্মে বিশ্বাসী। জাত্যাভিমানের গুর বিরোধি। মানবতার অনুসারি। মানুষের দুর্দিনে পাশে দাড়ানোর স্বভাবটা তার দীর্ঘদিনের। আর্থিক অনুদান সহ আশপাশের অনেককে চাকুরীদানেও তার অবদান প্রশংসাযোগ্য। এছাড়াও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তার আছে বড় বড় অনুদান।
ব্যক্তিগত জীবনে সে বিবাহিত। দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক। বাহুবলের সম্ভ্রান্ত জনপ্রতিনিধি পরিবারে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হয় সে। তার সহধর্মীনি শ্রীমতি দাস গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মৎস ও প্রাণী সম্পদ বিভাগের ফিল্ড ফ্যাসিলেটর পদে নিয়োজিত।
সুখ স্বাচ্ছন্দের জীবনে দিলিপ মুলত মানুষ পূজারী। সঙ্গ প্রিয় মানুষ। বিত্ত বৈভব যাকে খুব একটা প্রভাবিত করতে পারে না। চা বাগানের সবুজ শ্যামল পরিবেশে থাকতে থাকতে জীবন, যৌবন ও মনমানসিকতা অপরূপ সৌন্দর্যের এক মূর্তিমান ব্যক্তিস্বতা হয়ে দ্যূতি ছড়াচ্ছে।
এছাড়াও সে পেশাগত কাজের সুবাধে চা শ্রমিকদের সংগ্রামী জীবনে অনেকের আশার আলো জ্বালাচ্ছে। তাদের অনেক'ই এখন লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে এবং ভিন্ন কর্মে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। অনেকের জন্য দিলিপের উদ্যোগ শুধু স্বপ্ন নয়, বরং পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার উপায়।
দিলিপ যেন, শুভ কাজে সবার পাশে।
দ.ক.সিআর.২৫