➖
তারেক মিয়া তালুকদার সুজন◾
ভ্রমণ মানুষকে কুপমন্ডুকতার ছত্রছায়া থেকে মুক্ত করে বিশাল পৃথিবীর অপার সৌন্দর্যের মধ্যে ঠাঁই দেয়। মানুষের মনকে করে তোলে উদার। ক্ষুদ্র এ মানব জীবনকে দান করে গতিশীলতা। আর সেই ভ্রমণ যদি হয় শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে তাহলে তো কথাই নেই। শিক্ষা সফরের মাধ্যমে মানুষের অসম্পূর্ণ ও আবদ্ধ জ্ঞান বিকাশ লাভের সুযোগ পায়। শিক্ষা সফর একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনকে করে আনন্দময় ও পরিপূর্ণ। শিক্ষা সফরের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সুযোগ পায় নিজের দেশ ও জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তথা নিজের শেকড় সম্পর্কে জানতে। এছাড়া দেশের বাইরে সফরের মাধ্যমে তারা নানা দেশ ও জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জীবনযাত্রার সাথে পরিচিত হতে পারে যা তাদের জ্ঞানের সীমাকে প্রসারিত করে।
বই পড়ে যে শিক্ষা অর্জন করা হয় তা পরিপূর্ণ শিক্ষা নয়। শিক্ষার সাথে বাস্তব জ্ঞানের সংমিশ্রণ ঘটাতে পারলেই তা হয়ে উঠে পরিপূর্ণ শিক্ষা। নানা রকম ব্যবহারিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে এ পূর্ণতা অর্জন করা যায়। এসব কর্মকান্ডের মধ্যে শিক্ষা সফর অন্যতম। শিক্ষা সফরে গিয়ে শিক্ষার্থীরা শুধু আনন্দ লাভই করে না, বরং ঐতিহাসিক বিভিন্ন বিষয় প্রত্যক্ষ করে এবং সে বিষয়গুলো সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করে। তাই প্রকৃত ও পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা অর্জনের জন্য শিক্ষা সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তাই শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার পাশাপাশি মানসিক প্রশান্তি প্রদানের জন্য দ্বিমাগুরুন্ডা আঃ ছাত্তার তালুকদার একাডেমি প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও শিক্ষা সফরের আয়োজন করেছে।
গতকাল বোধবার ১৫ জানুয়ারি ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি মোলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল বধ্যভূমি এবং চিড়িয়াখানা দর্শণে যায়।
দ্বিমাগুরুন্ডা আঃ ছাত্তার তালুকদার একাডেমির প্রধান শিক্ষক তুহিন তালুকদার জানান, শিক্ষার পাশাপাশি ছাত্র ছাত্রীদের মেধা বিকাশের জন্য শিক্ষা সফর অতীত জরুরি। পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি দেশের সংস্কৃতি ইতিহাস ঐতিহ্য শিক্ষার্থীদের উপর অনেক প্রভাব ফেলে। সেকারণে দেশের জন্য প্রাণ উৎসর্গকারীদের মহান আত্মত্যাগের স্মৃতি বিজরিত ইতিহাস দর্শনের জন্য শ্রীমঙ্গল বধ্যভূমিতে ওদের নিয়ে আসা। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও অনেক খুশি। এছাড়া চিড়িয়াখানায় তারা অনেক প্রজাতির জীব দর্শন করবে। প্রাণী জগতের অন্যান্য জীব সম্পর্কেও তাদের জানার আগ্রহ বা পরিচয় ঘটবে।
শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকদের উপস্থিতি শিক্ষাসফরকে আরো প্রানবন্ত ও আনন্দময় করে তোলেছে। প্রধান শিক্ষকের পাশাপাশি একাডেমির সহকারী শিক্ষক ফারজানা আক্তার রুমি, সাবেক সহকারী শিক্ষক কামরুন্নাহার ফেন্সি সহ সকল শিক্ষকবৃন্ধ শিক্ষা সফরে অংশ গ্রহণ করেছেন।
পরিশেষে একাডেমির পক্ষ হতে প্রধান শিক্ষক সমাজের সকলের প্রতি একাডেমির জন্য সহযোগিতা ও পরামর্শ চেয়েছেন। প্রতি বছর দ্বিমাগুরুন্ডা আঃ ছাত্তার তালুকদার একাডেমির ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন বৃত্তি পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করে সাফল্যের সাথে উর্ত্তীন হয়। কেননা তাদেরকে যোগোপযোগি সব ধরণের খেলাধোলা, সংস্কৃতি চর্চা ও নৈতিকতার শিক্ষা দেওয়া হয়।
তাছাড়া প্রতিষ্ঠানটি গরীব অসহায় শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যবই সরবরাহ করে থাকে।
দ.ক.সিআর.২৫