➖
সাদমান সাকিব◾
ভারবাল কমিউনিকেশনে আমরা মোটামুটি ভালোই কিন্তু নন ভরবাল কমিউনিকেশনে আমরা একটু কেমন জানি....
আচ্ছা সহজ করে বলি নন ভারবাল কমিউনিকেশন হলো যেটা আমরা মুখে বলি না কিন্তু আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেই যেমন এমন অনেক হয়না যে
আপনি কারো কাছে কিছু একটা প্রত্যাশা করেন কিন্তু আপনি তাকে সেটা বলবেন না আবার সে যখন এই প্রত্যাশা পূরণ করে না আপনার অনেক রাগ-অভিমান হয় তাও আপনি বলেন না আপনি হয়ত যোগাযোগ বন্ধ রাখেন এইভাবে সম্পর্ক খারাপের দিকে যায়.. মজার ব্যাপার হলো আমাদের পরিচিত বা কাছের মানুষের সাথে পরিবারের সদস্যদের সাধারণত এমন হয়....
এই যে না বলে কিছু একটা বুঝাতে চাচ্ছি এইটাই নন ভারবাল কমিউনিকেশন! আবার আমাদের যাদের সাথে এত ভাল সম্পর্ক নেই তাদের কথায় অনেক সময় পাত্তা দেই না বা ঠিকমত মনোযোগ দেই না আর ঐ ব্যাক্তি কোনো একটা জায়গায় গিয়ে যখন বুঝতে পারে তখন কথার ঝুড়ির মুখ বন্ধ করে দেয়! আর এটা তার জন্য খুবই কষ্টদায়ক কারণ শুনেছি কথা পেটে জমে গেলে নাকি গ্যাস্ট্রিক হয়! আসলেই তার আপনার ব্যাপারে অনেক নেতিবাচক ধারণা জন্মায় এবং সে যদি আপনার কর্মক্ষেত্রের কেউ হয় তাহলে বুঝেন ব্যাপারটা কেমন হবে!
তাই আমাদের অন্যের কথার প্রতি মনোযোগী হওয়া উচিত যখন সে কথা বলছে তার সাথে আই কন্ট্রাক্ট করা উচিত! হালকা মাথা নাড়ানো, একটু হাসা, প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করা ঐ বক্তাকে অনেক খুশি করে দেয়! আপনাকে তার অবচেতন মনে ভাল ব্যাক্তি ভাবতে শুরু করে মোটকথা একটা পজিটিভ ধারণা জন্মায়! (বিঃদ্রঃ বিপরীত লিঙ্গের ক্ষেত্রে বেশি আই কন্ট্রাক্ট করতে গিয়ে আবার বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করিয়েন না , এর দ্বায় আমি নিচ্ছি না, নিয়মতান্ত্রিক ও স্বভাবিক মনোযোগ যেন থাকে) অতি উৎসাহী বা আপনি অভিনয় করছেন এটা যদি বক্তা বুঝতে পারেন তাহলেও বড্ড বিপদ!
কমিউনিকেশন এর এরকম আরও অনেক কিছু জানতে চাইলে বলেন। আর যারা এতদূর পড়েছেন ভাই বিগ স্যালুট স্ক্রলিং এর এই সময়ে আপনার এই মনযোগী হওয়ার ফল এই লেখায় না পান জীবনের কোনো একটা ক্ষেত্রে পাবেন!
দ.ক.সিআর.২৫