1. live@kaalnetro.com : Bertemu : কালনেত্র
  2. info@www.kaalnetro.com : দৈনিক কালনেত্র :
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০১ অপরাহ্ন

খাস জমিতে মিশ্র সবজি চাষে সফল কৃষক— কালনেত্র

দৈনিক কালনেত্র
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৫২ বার পড়া হয়েছে


এফ এম খন্দকার মায়া◾

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায়  মিশ্র ফসল চাষে লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকগণ।

কৃষক আব্দুল হান্নান উপজেলার ৩নং দেওরগাছ  ইউনিয়নের দেওরগাছ  এলাকার  বাসিন্দা শাহ আলমের পুত্র।তিনি একজন বিদেশ ফেরত কৃষক।
বিদেশ ফেরত কৃষক হান্নানের সাথে কথা হলে জানা যায়,তিনি ২০১৩ সালে তার  ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে দুবাই পাড়ি জমান।প্রবাস জীবনে সফলতা না পেয়ে হতাশ ছিলেন তিনি। একপর্যায়ে  ২০১৫ সালে চলে আসেন দেশে।জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়  নষ্ট না করে সিদ্ধান্ত নেন কৃষিকাজ করার। কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে প্রথমে ৫ একর জমিতে শুরু করেন সবজি চাষ। পরে চান্দপুর চা বাগানের খাস পতিত জমি ইজারা নিয়ে সবজি চাষাবাদ শুরু করেন ।শৈশবে বাবার হাতেখড়ি চাষাবাদ শিক্ষাই ছিলো তার নিজস্ব সম্বল।এক দশক শেষে এখন তিনি সফল উদ্যোক্তা।স্থানীয় উপজেলা সহ জেলার হাটবাজারে ভরপুর  হান্নানের ক্ষেতে উৎপাদিত শসা, টমেটো, ফুলকপি, ব্রকলি, মিষ্টিকুমড়া, সবুজ পেঁপে, মরিচ, পেঁয়াজ সহ বিভিন্ন মৌসুমের উচ্চ মূল্যের সবজি।আব্দুল  হান্নানের সবজি চাষে সফলতা দেখে সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন এলাকার অসংখ্য কৃষক কৃষাণী।

হান্নান আরও জানান, চলতি রবি মৌসুমে  প্রায় ৬০ বিঘা জমিতে  সবজি  চাষ করেছেন তিনি। তার জমিতে প্রতিদিন ৩৫ জন শ্রমিক কাজ করছেন। মাসে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার বেশি শ্রমিকদের বেতন দেন।কৃষি খামারে তার খরচ হয়েছে প্রায়  ৩০ লাখ টাকাও বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এই মৌসুমে খরচবাদ দিয়ে আনুমানিক ৩৫-৪০ লাখ টাকা লাভ হবে বলে আশবাদী তিনি। চলতি মৌসুমে ইতোমধ্যে প্রায় ২৫ লাখ টাকার সবজি বিক্রি করেছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহিদুল ইসলাম জানান, আব্দুল হান্নান একজন বড় কৃষি উদ্দোক্তা।এরকম উদ্দোক্তারাই আমাদের কৃষিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। তিনি আনুমানিক ৬০-৭০ বিঘা জমিতে প্রতি মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের উচ্চমূল্যের শাকসব্জি ও মরিচ আবাদ করেন। এছাড়া মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত পলিসেড হাউজে সারা বছরজুড়ে তিনি বিভিন্ন শাকসবজির চারা উৎপাদন করে স্থানীয় কৃষকদের চাহিদা পূরণ করেন। যুগান্তকারী এ প্রদর্শনীতে একই জমিতে একাধিক ফসল আবাদ করা হয়। ফলে একদিকে যেমন জমির সদ্ব্যবহার করা সম্ভব হয়, অন্যদিকে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন– বন্যা-খরা ইত্যাদিতে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা যায়।আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলা হচ্ছে। এ ছাড়া সেচ সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে সাময়িক পতিত জমিকে ফসলি জমির আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে।

দ.ক.মায়া.২৫

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© 𝐰𝐰𝐰.𝐤𝐚𝐚𝐥𝐧𝐞𝐭𝐫𝐨.𝐜𝐨𝐦
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট