বিশেষ প্রতিবেদক◾
মুরুব্বিরা বলেন, যায় দিন ভাল, আসে দিন খারাপ। আমাদের তো মনে হয় দুই-ই গেল! গেল দিন যে ভাল ছিল না, সেটা তো আর বলে বোঝাতে হবে না। আশা ছিল, বর্তমানটা যাই হোক, আসছে দিনটা অন্তত ভাল যাবে। কিন্তু কই, যাহা বায়ান্ন, তাহাই তেপ্পান্ন।
আগে ছাত্রলীগ ক্ষমতায় ছিল, তারা যখন খুশি তখন শিক্ষার্থীদের ওপর ঝাপায়া পড়ত। নামই হইছিল, ‘হেলমেট বাহিনী’। তারা অস্ত গিয়েছেন। কিন্তু তাই বলে কি রাজপথ অন্ধকার থাকবে? এখন আরেকদলের উদয় হয়েছে, ‘বাঁশ বাহিনী’।
একটি পাঠ্যপুস্তকের পেছনের প্রচ্ছদে থাকা ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাদ দেওয়া হয়েছে। এতে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তুলেছেন, কেন এটি বাদ দেওয়া হল। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর তো এটা হওয়ার কথা না। কিন্তু হয়েছে।
আদিবাসী শিক্ষার্থীদের রাস্তায় ফেলে পেটানো হয়েছে, রক্তাক্ত করা হয়েছে, নারী শিক্ষার্থীদের মেরে রক্তাক্ত করেছে। সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, যারা পিটিয়েছেন, তারাও মাথায় ব্যান্ডেজ করে মিডিয়ার সামনে এসে নাটক করেছেন। এটা না করলে অবশ্য হত না। কারণ, এরা আছে বলেই না নাটক টিকে আছে। অবশ্য কেউ কেউ এটাও বলছেন, পুরনো ফ্যাসিস্টরাই নাকি ভিন্ন রূপে ফিরে আসতে শুরু করেছে।
সরকার না চাইলে নাকি কোনো দেশে দাঙ্গা হয় না। এখন আলোচনা চলছে, সরকার না চাইলে নাকি দেশে লাঠিয়াল বাহিনীও তৈরি হয় না। অনেকে আবার এই কথাও রাষ্ট্র করে দিচ্ছে যে, লাঠিয়াল বাহিনী নাকি সরকারেরই অংশ। নানা নামে নানাভাবে আছে তারা।
তাহলে তো ঠিকই আছে। সরকার কি একমুখী হলে চলবে? সরকারকে হতে হবে বহুমুখী। আহা বেচারা সরকার! কতকিছু করা লাগতাছে।
দ.ক.একতা.২৫