এফএম খন্দকার মায়া, চুনারুঘাট
হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় এক কিংবদন্তী নারী জনপ্রতিনিধি শামসুন্নাহার চৌধুরী মৃত্যুতে শোকাভিভূত চুনারুঘাট উপজেলাবাসী।
জন্মসূত্রে পার্শ্ববর্তী জেলার মৌলভীবাজারের সন্তান হলেও বৈবাহিক সূত্রে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার একজন কিংবদন্তি আলোকবর্তিকা নারী জাগরণের অগ্রদুত হিসেবে দেশব্যাপী সুনাম কুড়িয়েছেন।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ভোররাত আড়াইটার সময় ঢাকা বারডেম হাসপাতালে চিকিসারত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।তিনি দীর্ঘদিন ভারতসহ দেশ বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিয়ে স্বাভাবিক হলেও হঠাৎ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হলেও অবসান ঘটে এই কিংবদন্তী নারী জনপ্রতিনিধির।
তিনি উপজেলার ১০নং মিরাশি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ৩নং দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে ৩ বার নির্বাচিত হোন।এছাড়াও বাংলাদেশের সর্বপ্রথম নারী জনপ্রতিনিধি হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়েছিলেন বলেেও জানা যায়।
চৌধুরী শামসুন্নাহার ব্যক্তিগত জীবনের বাহিরে গিয়ে রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক পরিবেশও রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।তিনি চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করাসহ একাধিক পদে দায়িত্ব পালন করেন।
জানা যায়, আশির দশকে চুনারুঘাট উপজেলার জনপ্রিয় এক তরুন জনপ্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম (ওরুপে চুনু চৌধুরী) কে বিবাহের মাধ্যমে সংসার জীবন শুরু করেন।সুখ সম্মৃদ্ধিপূর্ণ চলমান জীবনে ৩ সন্তানের জননী অবস্থায় ১৯৮৭ সালে কথিত আতত্বায়ীদের হাতে নির্মম ভাবে চুনু চৌধুরী খুন হোন।পরিবার ও কুল-কিনারাহীণ ইউনিয়ন পরিষদের হাল ধরতে মাথা উঁচু করে দাঁড়ান কিংবদন্তি এ নারী।
পরবর্তীতে জীবন চলার পথে শূন্য স্থান পূরণ করতে দ্বিতীয় বিবাহে আবদ্ধ হোন চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ৩নং দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের সাথে।এসংসারে ৪ সন্তান লালনপালন করে সফলভাবে সংসার জীবন ও সামাজিক জীবনযাপন চলমান জীবনে শারীরিক অসুস্থতায় পড়েন।দীর্ঘ চিকিৎসারত আজ ভোর রাতে মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে সফল এ জীবনের ইতি পড়ে।বাদ আছর হাজারো মুসলিম জনতার উপস্থিতিতে আলিম উল্লাহ সিনিয়র আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফনকাজ সম্পন্ন করেন।
এসময় হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।