কালনেত্র ডেস্ক◾
একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়নের জন্য এবং শিক্ষাক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য সরকার যে দল বা গোষ্ঠীর উপর দায়িত্ব অর্পন করে তাই হলো শিক্ষা কমিশন।
মূলত শিক্ষা কমিশন একটি দেশের শিক্ষানীতি প্রণয়নে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট প্রণয়নের ইতিহাস আমাদের বেশ উজ্জ্বল। প্রায় দুশ বছরের শাসনামলে ব্রিটিশরা মোট নয়টি কমিশন রিপোর্ট প্রদান করে। যেমন-
১. ১৯৭২: চার্লস গ্রান্ট শিক্ষা কমিশন
২. ১৮১৩: কোম্পানি সনদ
৩. ১৮৩৫: লর্ড ম্যাকলে কমিটি
৪. ১৯৩৮: উইলিয়াম অ্যাডামস কমিটি
৫. ১৮৫৪: উডস এডুকেশন ডেসপাচ
৬. ১৮৮২: ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার শিক্ষা কমিশন।
৭. ১৯১৯: এম ই স্যাডলার শিক্ষা কমিশন
৮. ১৯৩৪ : সা প্র“ শিক্ষা কমিশন
৯. ১৯৪৪: জন সার্জেন্ট শিক্ষা কমিশন।
বাংলাদেশ আমলে গঠিত শিক্ষা কমিশনগুলো হচ্ছে-
১. ১৯৭৪: বাংলাদশে শিক্ষা কমিশন (সভাপতি: কুদরাত-এ-খুদা)
২. ১৯৭৯: অন্তবর্তীকালীন শিক্ষানীতিঃ জাতীয় শিক্ষা উপদেষ্টা পরিষদের সুপারিশ (সভাপতি: কাজী জাফর আহমদ/ আব্দুল বাতেন)
৩. ১৯৮৩: শিক্ষানীতি ও ব্যবস্থাপনা কমিশন (সভাপতি : মফিজউদ্দিন আহমেদ)
৫. ১৯৯৩ : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক টাস্ক ফোর্স (সভাপতি: আব্দুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দীন)
৬. ১৯৯৭ : জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি (সভাপতি : মোহাম্মদ শামসুল হক)
৭. ২০০০: জাতীয় শিক্ষা কমিটি
৮. ২০০২: শিক্ষা সংস্কার বিশেষজ্ঞ কমিটি (সভাপতি: মুহম্মদ আব্দুল বারী)
৯. ২০০৩ জাতীয় শিক্ষা কমিশন (সভাপতি: মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিঞা)
১০. ২০০৯: জাতীয় শিক্ষানীতি ২০০৯
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বর্তমান রূপরেখা গড়ে উঠেছে মূলত ঔপনিবেশিক যুগে ব্রিটিশদের থেকে শুরু করে পাকিস্তান আমল হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর হতে বর্তমান কাল পর্যন্ত গঠিত বিভিন্ন শিক্ষা কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত রিপোর্ট পর্যালোচনার মাধ্যমে তৎকালীন সময়ে ক্ষমতাসীন সরকার কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থার মাধ্যমে।
ক্ষমতার পালাবদলের পর আওয়ামী লীগ সরকার প্রণীত সর্বশেষ শিক্ষাক্রম থেকে সরে আসলেও শিক্ষা সংস্কারের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা এখনো সামনে আনতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার। রাষ্ট্র সংস্কারে এরইমধ্যে আলাদা আলাদা ১০টি কমিশন গঠিত হলেও শিক্ষার মত গুরুত্বপুর্ণ খাত সংস্কার এখনো আলোচনার বাইরে।
এ খাতে শহর এবং গ্রামের সমতা ফেরানোর পাশাপাশি শিক্ষাকে পণ্য না বানিয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রয়োজন মনে করছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা।
দ.ক.সিআর.২৫