➖
মনসুর আহমেদ
দমদমিয়া লেক দর্শনার্থীদের কাছে অনেক আকর্ষণীয়। যার অবস্থান হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের নালুয়া চা বাগানের বুকে। এখানের উঁচু-নিচু টিলা, চা বাগান ও লেক পর্যটকদের আকর্ষণীয় করে। ইতিমধ্যে দমদমিয়া একটি সুন্দর পর্যটন স্পট হিসেবে এলাকার পর্যটকদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাবে দমদমিয়ায় ঘুরতে আসা পর্যটকদের পড়তে হয় কিছুটা বিড়ম্বনায়। চা বাগানের ভিতর দিয়ে দৃষ্টিনন্দন আঁকাবাঁকা পিচ ঢালা পথ ও মাটির রাস্তা হয়ে পাখির কিচিরমিচির শব্দ শুনতে শুনতে চলে যাওয়া যায় দমদমিয়া লেকে। বর্ষা মৌসুমে দমদমিয়া লেকে আসতে দর্শনার্থীদের বেশ কষ্ট পোহাতে হয়। তবুও প্রকৃতিকে ভালোবেসে তরুণ-তরুণীদের আনাগোনা চোখে পড়ার মত।
দমদমিয়ায় চোখ জুড়ানো নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা দেখে যেকারো মন ভালো হয়ে যাবে। আছে দুটি বিশাল আকৃতির বটবৃক্ষ। তার ছায়া তলে পিকনিক করতে আসা লোকজন সবুজ ঘাসে বসে খাবার-দাবার সেরে নেন। পড়ন্ত বিকেলে ধুধু বাতাস সারা শরীর শীতল করে তুলে। মনের বাতায়নে জেগে ওঠে বিশুদ্ধ ভালোবাসা।
দমদমিয়া লেকের পাড়ে বিশেষ আকর্ষণ বিশাল আকৃতির চা-গাছ। যেহেতু চায়ের ফল পেতে সাত বছর সময় লাগে, তাই কেউ ফল ধরার অপেক্ষায় পাতা সংগ্রহ বন্ধ রাখেন। পাতা সংগ্রহ বন্ধ রাখলে চা গাছগুলোর সর্বোচ্চ ৩০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয় বলে জানা যায়। এই বিশাল আকৃতির চা গাছগুলো সচরাচর চোখে পড়ে না।
ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা সরকারের কাছে দাবি করে বলেন, দমদমিয়ার রাস্তা-ঘাট ও অবকাঠামো উন্নয়ন করলে দেশে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সহজেই মানুষ এখানে ঘুরতে আসবে পারবে। এই লেককে কাজে লাগিয়ে সরকারের রাজস্ব আয়েরও সুযোগ তৈরি হবে।
দ.ক.সিআর.২৫