কালনেত্র প্রতিবেদন◾
হবিগঞ্জ একটি মফস্বল জেলা হলেও ক্রীড়াঙ্গনে অনেক গৌরব উজ্জল ইতিহাস রয়েছে। বর্তমানে অবকাঠামোগত ও আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতার অভাব থাকলেও সেই গৌরব ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। আর জেলার ক্রীড়াঙ্গনের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে হবিগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা।
হবিগঞ্জ একসময় ফুটবল ও এথলেটিক্সে সমৃদ্ধি ছিল। জেলার বেশকিছু উল্লেখযোগ্য ক্লাবও ছিল। বৃটিশ ও পাকিস্তান আমলে কলকাতার ইস্টবেঙ্গল এবং মোহন বাগান ক্লাবের সাথে পাল্লা দিত এখানকার মোহামেডান ও টাউন ক্লাব। কলকাতা ও ঢাকা লীগে হবিগঞ্জের ফুটবলাররা নিয়মিত অংশ নিতেন। এদের মধ্যে মরহুম মৌলদ হোসেনের খেলা সকলের মন কাড়তে সক্ষম হয়। ৭০ ও ৮০র দশকে দেশ সেরা ডিফেন্ডার ছিলেন হবিগঞ্জের মোক্তার হোসেন। জাতীয় দলের পক্ষে তিনি বহু দেশ সফর করেন। বর্তমানে তিনি হবিগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য।
এথলেটিক্সেও হবিগঞ্জের অনেক গৌরবগাথা রয়েছে। দেশের শ্রেষ্টত্ব অর্জন করেছেন অনেক এথলেট। স্কুল ফুটবলে খেলাধুলার জন্য বিখ্যাত হবিগঞ্জের জে,কে, এন্ড এইচ, কে, উচ্চ বিদ্যালয় পশ্চিম পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। খেলাধুলায় স্কুলটি এখনও সিলেট বিভাগের শীর্ষে।
খেলাধুলা সৌখিনতার পর্যায় অতিক্রম করে পেশাদারী পর্যায়ে চলে গেছে। কিন্ত হবিগঞ্জ শিল্প ও বানিজ্য শহর না হওয়ায় ক্রীড়াঙ্গনে পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে না। মাঠের সমস্যা সবচেয়ে বড়। তারপরও এই মাটির সন্তান নাজমুল হোসেন জাতীয় ক্রীকেট দলে হবিগঞ্জের প্রতিনিধিত্ব করছেন। অনুর্ধ ১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলে ছিলেন সিরাজুল্লাহ খাদেম নিজু। বর্তমানে অনুর্ধ ১৭ দলে রয়েছেন এম,এর, রুনু। টেবিল টেনিসে বরাবরই হবিগঞ্জ দেশের প্রধান ৮টি দলের মধ্যে রয়েছে। জয়নাল আবেদীন তপু সারা দেশে রানার্স আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
বর্তমানে জাতীয় টেবিল টেনিসে সিলেট বিভাগের ৪টি জেলারই দল গঠন করা হয় হবিগঞ্জের খেলোয়ারদের নিয়ে।
জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় হবিগঞ্জের কৃতি খেলোয়াড় মুক্তার, নাজমুল, জাকের আলী অনিক প্রমুখ।
দ.ক.সিআর.২৫