আমার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া যে বন্ধুরা এই বাচ্চা মেয়ের করা ভুল নিয়ে খুব সাধু হইতেছ..তুমিও যে না মানে ঐ যে পাশের স্কুল স্টুডেন্টের সাথেই… তুমার সম্মান রক্ষার্থে আমি বাকিটা বললাম না।
তাইতো কাজী নজরুল বলিয়াছিলেন, “ধর্মান্ধরা শুনো অন্যের পাপ গুনিবার আগে নিজেদের পাপ গুন।”
আমিও যে কত বড় সাধু তাত আমিই নিজেই জানি আর তুমি তুমারটা জানো।কিন্তু এইখানে তুমি আমি দুইজনেই সাধু ঋষি আরও কত কী…
অথচ সময় সুযোগ মিললে কে যে কতটা ঠিকঠাক থাকতাম সৃষ্টিকর্তাই ভাল জানেন।
আমি আমার অতীতের দিনের করা ভুলগুলার কথা চিন্তা করি। এখন আমার যে বুঝার ক্ষমতা সেটা তখন থাকলে এইগুলা করতামনা যেমন ক্লাস নাইনে থাকাকালীন আমার এক বন্ধুরে অনেক বেশি বিরক্ত করতাম যেইটা এখনও মনে হইলে নিজেরে অপরাধী মনে হয়..
আপনারও অতীতের এমন করা শত-শত ভুল আছে পর্যাপ্ত বিচক্ষণতা না থাকায় আপনি করেছেন আমি করেছি আমরা সবাই করেছি..
বুকে হাত দিয়া বলেনত করেননাই…?
না ভাই এই মাইয়ার হইয়া দলালি করতে আসে নাই ঐ মাইয়া আমার আত্নীয়ও না আমি তারে চিনিও না..কিন্তু যে কার্য তিনি সম্পাদন করিয়াছেন তা সত্যি কষ্টকর আমার নিজের ও খারাপ লেগেছে..
এটাও সত্যি যে ঐ বয়সে আমরা খেলনার মোবাইলে ধুম্বা চলে শুনতাম কিন্তু মহাশয় মোবাইল এখন বদলে গেছে স্ক্রিনে এখন ইন্সটার আশ্লিল রিল্সগুলি ঘুরে বেড়ায় টিকটকে সুইসাই*ল ভিডিওগুলোতে বেশি ভিউ পায় স্কুল ব্যাবহার করে যে নাটক গুলো বানানো হয় এগুলো অশ্লিলতা আর নোংরামি ছাড়া কিছুই শেখায় না।
সমস্যাটা ওই জায়গায় আমাদের সিনিয়ররা বাটন মোবাইলের মেমোরিতে কিংবা সিডি প্লেয়ারে মুভি দেখতেন আমরা ধুম্বা চলে শুনতাম।
আর এখন আপনি আমি যে হলুদ অসাস্থ্যকর কন্টেন্ট দেখি( সুগ*র ডেডি কিংবা এডা*ল্ট জোক মার্কা ইন্টারভিউ) আমাদের ছোট ভাই বোনেরাও ওই একই সোস্যাল মিডিয়া ব্যাবহার করছে। কিন্তু ম্যাচুয়রিটি টা তাদের আমাদের মত নেই..
তাহলে বলেন ত দায়ী কে..? আমি, আপনি আমাদের ভাই বোন দের একটা নিরাপদ ইন্টারনেট দিতে পারিনি কারণ আমরাই ত নিরাপদ না। নিরপত্তার নামে আমাদের সাইবার সিকিউরিটি মামলা দেয়া হয় অথচ এক সংবাদকর্মী গণমাধ্যমে একজন আরেকজনের চোখ বেঁধে হাতে কী কী যে ধরতে দেন। থাক আমার মানসিকতা নেগেটিভ আপনি উনি সবাই সাধু খালি আমিই খারাপ
কনটেন্ট কে কেমন তৈরি করবে, নাটকগুলা কেমন হবে, কিংবা আমাদের ছোট ভাইবোনেরা কোন অ্যাপ ব্যাবহার করবে; আর আমরা ওদের ব্যাস্ত রাখতে হাতে একটা ফোন দিয়া দেই কী কী যে দেখে সেটা দেখার সময়ও আমাদের নাই..
তারপর নামকরা প্রতিষ্ঠানগুলি এদের দিয়েই বিজ্ঞাপন বানায় ভিউ হয় ব্যাবসা হয় আর বন্ধু তুমার পোস্টেও সচরাচরের চেয়ে রিয়্যাক্ট বেশি হয় আমরা এতেই খুশি।
আপনি আমি কী কখনো এই অশ্লীলতার বিরুদ্ধে একবারও সোচ্চার হইয়াছি? কিংবা ঐ সবজায়গায় হা হা রিয়্যাক্ট ছোড়া ছাড়া একবারও চিন্তা করছি এই কন্টেন্ট কী আমার ছোট ভাইও দেখবে? আমি কী তাকে দেখতে দিতাম?.. অথচ আমি দিব্যি দেখতে পারি… ইন্টারনেট আপনাকে ঠেকানোর কেউ নেই
ঠিক এমনটা আপনার আমার ছোট ভাই বোনের ক্ষেত্রেও। উন্নত বিশ্বে বিভিন্ন আইন আছে বিভিন্ন সংস্থা আছে যারা বাচ্চাদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট নিয়ে কাজ করে। আর আমরা ত ব্রীজের উপরে চান্দা বাজিই বন্ধ করতে পারিনা আর বাচ্চাদের নিরাপদ ইন্টারনেট ত বিলাসিতা। তাই ভাই মজা নেওয়া বন্ধ করেন নিজের দিকে একটু তাকান নিজের ভাই বা বোনের কথা একবার ভাবেন।আমরা নিজেরা যদি এসব অশ্লীলতা থেকে বেরিয়ে আসি হয়তো এগুলো আমাদের ভাইবোনের ফিডে যাওয়ার সম্ভাবনা একটু কমবে..আপাততঃ এটাই করতে পারি শিশুদের জন্য একটা নিরাপদ ইন্টারনেট দিতে পারব না এইটাই করি…?
-সাদমান সাকিব.দ.ক.সিআর.২৫