➖
প্রতিবেদক জয়নাল লস্কর◾
বেসরকারী সংস্থা আশা’র প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কৃষি, যুব, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, কোয়ান্টাম পরিবারের সদস্য চুনারুঘাটের কৃতি সন্তান মো: সফিকুল হক চৌধুরী গত ২০২১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
শুক্রবার বাদ জুমা রাজধানী ঢাকার শ্যামলী শিশুপল্লীতে জানাজার নামাজ শেষে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
মো: সফিকুল হক চৌধুরী ১৯৪৯ সালে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৮ সালে সমাজ বিজ্ঞানে বি.এ (সম্মান) ও ১৯৬৯ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বিসিএস ১৯৭৩ ব্যাচের প্রবেশনারি কর্মকর্তা হিসেবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়েও চাকুরীতে যোগদান না করে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে ও দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে আত্মনিয়োগ করেন।
কর্মজীবন
মো: সফিকুল হক চৌধুরী ১৯৭৮ সালে ‘আশা’ (এসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল এডভান্সমেন্ট) প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, আশা ম্যাটস এবং হোপ ফর দ্য পুওরেস্ট প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি আশা ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন-যা বর্তমানে এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের ১৩টি দেশে কাজ করছে।
তিনি (২০০৬-০৭) সালে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
কোয়ান্টামের সাথে একাত্মতা
মো. সফিকুল হক চৌধুরী ১৯৯৪ সালে অনুষ্ঠিত কোয়ান্টাম মেথড কোর্সের ১৩ তম ব্যাচে অংশগ্রহণ করেন। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে জাতীয় উন্নয়ন কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থেকে মানবিক ও সামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখেছেন জনাব মো: সফিকুল হক চৌধুরী।
মৃত্যুকালে স্ত্রী ও তিন পুত্রসহ অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন মরহুম মো. সফিকুল হক চৌধুরী। পরম করুণাময় তার সকল ভালো কাজ সৎকর্ম হিসেবে কবুল করুন।
আমরা তার অনন্ত প্রশান্তি কামনা করছি। আমিন
দ.ক.সিআর.২৫