স্টাফ রিপোর্টার
চুনারুঘাটে রক্ষিত ঐতিহাসিক বদ্ধভূমির সীমানা প্রাচীরের গেইট ভেঙে দখল পূর্বক সিএনজি স্টেশনে পরিনত করা হয়েছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারী) স্ব শরীরে উপস্থিত হয়ে এমন চিত্র দেখা যায় যে সেমি পাঁকা দেয়ালে একটি লোহার গেইট দ্বারা রক্ষিত করে উপজেলা প্রশাসন। যা বর্তমানে ফটক মুখে দেয়াল ভাঙা ও গেইট উন্মুক্ত এবং সিএনজি পার্কিং করে রাখা হয়েছে।
স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যার নির্মম সাক্ষী এ বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ করা যায়নি এমন প্রতিবেদনে গণশৌচাগার এ জাগায় প্রশাসনের উদ্যোগে মাটি ভরাট ও রক্ষিত করা হয। চুনারুঘাটের পৌরসভার উত্তর বাজারস্থ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স সংলগ্ন বধ্যভূমি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক মুক্তিকামী মানুষকে গণহত্যার দলিল।
দেশের জন্য মানুষের প্রাণ বিলিয়ে দেয়ার ইতিহাস এ বদ্ধভূসি সংরক্ষণ করায় নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ জানতো।
সবশেষ দু’বছর আগে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সত্যজিত রায় দাশের পৃষ্ঠপোষকতায় বধ্যভূমিটি সংস্কারের উদ্যোগে সীমানাপ্রচীর করা হয়। কিন্তু সরকার পতনের পরপর সংস্করণ জায়গায় গড়ে ওঠে ফের সিএনজি-অটোরিকশা স্টেশন।
জানা যায়, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক গণহত্যার এক শোকাবহ স্মৃতিচিহ্ন অঙ্কিত হয়ে আছে এই বধ্যভূমিগুলোতে। এই স্থানে পাকিস্তানি বাহিনীরা পৌরসভায় ১১ জন ও চা-বাগানসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মুক্তিযোদ্ধাসহ ৫০ জনেরও বেশি নারী-পুরুষকে হত্যা করে গণকবর দেয়।
এবিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ও সচেতন মানুষ জানান, উপজেলা প্রশাসনের নিরবতাই ঐতিহাসিক এ স্থানটি রক্ষিত অবস্থান ভেঙে অসৎ মানুষ অবৈধভাবে সিএনজি পার্কিং করে রেখেছে। দ্রুত এদের আইনের আওতায় আনা হোক।