➖
কালনেত্র প্রতিবেদন
ফাল্গুনের মাতাল হাওয়ায় উদাস বসন্ত প্রেম-প্রকৃতিকে ভাবায়, তাড়িত করে। সংস্কৃত ভাষার সবচেয়ে শক্তিশালী এ কবি সেই খ্রিষ্টীয় চতুর্থ-পঞ্চম শতকের দিকে অদ্ভুতভাবে অনুভব করেছেন বসন্তকে। এরপর বিভিন্ন কালে প্রকৃতির মতো কবিতায়ও রূপ বদলেছে বসন্ত।
কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ভাষায়- ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত। আজ ১লা ফাল্গুন মানে আজ থেকে শুরু ঋতু বসন্ত। আর বসন্ত মানেই পূর্ণতা, বসন্ত মানেই নতুন প্রাণের কলরব। পাতা ঝরা দিন মনে করিয়ে দিচ্ছে, বসন্ত এসে গেছে। এসেছে বাঙালির ঋতুরাজ। রূপ লাবণ্যে জেগে উঠেছে প্রকৃতি, রঙিন চারপাশ। বৃক্ষের নবীন পাতায় আলোর নাচন! গোলাপ, জবা, পারুল, পলাশ, পারিজাতের হাসি।
সাধারণত উৎসব প্রিয় বাঙালি বসন্তের প্রথম দিন ফুলের সাজে নব আনন্দে মেতে ওঠে। ঋতুরাজের আগমনী দিনে আজ আনন্দের হাট বসবে রাজধানীসহ সারাদেশের সচেতন অগ্রসর তরুণ-তরুণীদের মনে। বসন্তের এই উৎসবে চারুকলার বিনোদন প্রেমী মানুষের স্রোত গিয়ে মিলবে বইমেলায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, টিএসসি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ সর্বত্র থাকবে কোলাহল আর রঙিন হবে মানুষের ঢল।
এদিন বাঙালি ললনারা বাসন্তী রঙের শাড়ি পরে, খোঁপায় গাঁদা, পলাশসহ নানা রঙের ফুল গুঁজে বেরিয়ে পড়বেন সাংস্কৃতিক উৎসবে। আর ছেলেরা লাল-হলুদ, বাসন্তী রঙা পাঞ্জাবি আর ফতুয়ায় নতুন করে নিজেদের সাজিয়ে নেমে আসবে পথে।
এদিকে, বসন্তের আগমনে কোকিলের কুহুতানে মুখরিত হবে শুধু শ্যামল সবুজ প্রান্তর নয়, এই শহরও। আর শুকনো পাতারা ঝরে গিয়ে জন্ম নেবে কচি নতুন পাতার। সেই পত্রপল্লবে, ঘাসে ঘাসে, নদীর কিনারে, কুঞ্জ-বীথিকা আর ওই পাহাড়ে অরণ্যে বসন্ত দেবে নবযৌবনের ডাক।
তবে তরুণ-তরুণীদের পাশাপাশি সব বয়সী মানুষ ঘরের বাইরে আসবেন। পলাশ-শিমুলের রঙে রাঙিয়ে নেবেন মন। ফাগুনের আগুনে, মন রাঙিয়ে বাঙালি তার দীপ্ত চেতনায় উজ্জীবিত হবে।
দ.ক.সিআর.২৫