➖
এফ এম খন্দকার মায়া, চুনারুঘাট
হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা থাকায় আসাদুজ্জামান খান মাসুক মাষ্টার কে বৈষম্য বিরোধী মামলায় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মানববন্ধন বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে উপজেলার ১০নং মিরাশি ইউনিয়নের নালমুখ বাজারে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে এলাকার কয়েকশত শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় যুব জনসাধারণও অংশগ্রহণ করেন।
জানা যায়, বৃহস্প্রতিবার (২৭ ফ্রেব্রুয়ারী) ডেভিল হান্ট অভিযানে উপজেলার সাবিহা চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আসাদুজ্জামান খান মাসুক কে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার করে যৌথ প্রশাসন। এতে এলাকার শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রীয়া দেখা দেয়। এবং মানবিক ও আদর্শিক শিক্ষক হিসেবে গণমাধ্যমে গ্রেফতারের নিন্দা ও মুক্তি দাবি জানায় তারা।
এবং শুক্রবার মানববন্ধনে অসংখ্য শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে রাফাউল গণি আনসারী বলেন, মাসুক স্যার একজন ন্যায় নিষ্টাবান আন্তরিক শিক্ষক। উনাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র কেন বুঝে উঠতে পারছি না! কেন আসাদুজ্জামান খান মাসুক স্যারকে গ্রেফতার করা হয়েছে? তাঁর গ্রেফতার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।আমরা উনার মুক্তি চাই।
এছাড়াও অনেক শিক্ষার্থী জানান, যারা অন্যায় ও অবিচারের নেতৃত্ব দিয়ে ছিলো তারা আজও দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে সর্বত্র। অনেকেই আবার বিরোধী দলের নেতাদের হেফাজতে আছেন। যারা বিগত বছরে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করেছে। তাদেরকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা উচিত এবং নিরপরাধ ব্যক্তিদের গ্রেফতার পরিহার করা জরুরি।
এ বিষয় চুনারুঘাট উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্টান ডিসিপি স্কুল সহকারী শিক্ষক বশির মাস্টার শিক্ষক আসাদুজ্জামান খান মাসুক মাষ্টার সাথে বৈষম্য করা হচ্ছে দাবি করেন।এবং তিনি একজন নিরপেক্ষ নিরপরাধ মানুষ হিসেবে সর্বজন শ্রদ্ধেয় দাবি করে মুক্তি দাবি জানান।
উল্লেখ্য যে,শিক্ষক আসাদুজ্জামান খান মাসুক আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন।তিনি ১০নং মিরাশি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দায়িত্বে ছিলেন।তবে ৯ই অক্টোবর ২০২৪ বৈষম্য বিরোধী মামলায় তিনি এজাহার ভুক্ত আসামি ছিলেন না।
দ.ক.সিআর.২৫