➖
কালনেত্র প্রতিবেদন
দেশের বিভিন্ন স্থানে মাসজুড়ে বিশুদ্ধ তেলাওয়াতে কোরআনের প্রশিক্ষণ কোর্স চালু হয়েছে। কোরআন প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি হয়ে বিশুদ্ধভাবে পবিত্র কোরআন শিখা আবশ্যক।
বিশুদ্ধ কোরআন শিক্ষাদানের জন্য দেশে বিভিন্ন কুরআন শিক্ষা বোর্ড পবিত্র রমজানুল মোবারকে দারুল ক্বিরাত নামে কোরআন প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করেছে। সিলেটের আঞ্জুমানে তা’লীমুল কোরআন বাংলাদেশ, দারুল ক্বিরাত মজিদিয়া ফুলতলী ট্রাস্ট, আল খলীল কোরআন শিক্ষা বোর্ড, মাদানিয়া কোরআন শিক্ষা বোর্ডসহ আরো অনেক শিক্ষা বোর্ড সারাদেশে বিশুদ্ধ কুরআনের খেদমত অব্যাহত রেখেছে।
পুরো রমজান মাস সারাদেশের প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকবে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমুহে সকল শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। অভিভাবকগণ ইচ্ছা করলে এই সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সন্তানকে রমজান মাসব্যাপী বিশুদ্ধ কোরআন প্রশিক্ষণ কোর্সের যে কোন কেন্দ্রে ভর্তি করাতে পারেন। শিক্ষার্থীরা ইচ্ছে করলেই রমজান মাসব্যাপী দারুল কিরআত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হয়ে বিশুদ্ধ কোরআন শিখতে পারবে।
যে ব্যক্তি নিজেকে একজন প্রকৃত মুমিন হিসাবে দাবি করবে তাকে অবশ্যই পবিত্র কোরআন শিক্ষা করতে হবে। কোরআন শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। মহান আল্লাহ তাআলা কোরআন শিক্ষা করা ফরজ করে দিয়েছেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন- পড় তোমার প্রভুর নামে, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। (সূরা আলাক : ১)। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, মহান আল্লাহ বলেন-‘আমি কালামুল্লাহকে পৃথক পৃথক পাঠের উপযোগী করেছি, যাতে আপনি একে লোকদের কাছে ধীরে ধীরে পাঠ করেন এবং ওহি যথার্থভাবে অবতীর্ণ করেছি’। )সূরা বনি ইসরাইল : ১০৬)।
আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন- ‘রমজান হলো এমন একটি মাস, যে মাসে কোরআন কারীম অবতীর্ণ করা হয়েছে লোকদের হিদায়াতের জন্য এবং সত্যপথযাত্রীদের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা ও সত্যমিথ্যার মাঝে পার্থক্য নিরূপণকারী হিসেবে’। (সূরা বাকারা : ১৮৫)। আল্লাহ বলেন- ‘নিশ্চয়ই এ কুরআন বিশ্ব জাহানের রবের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ করা হয়েছে’। (আশ-শুআরা ১৯২)।
নবীজীবলেন- রোজা ও কোরআন কিয়ামতের দিন মানুষের জন্য সুপারিশ করবে। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং : ৬৬২)। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন-‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি যিনি কোরআন শিক্ষা করেন এবং অপরকে শিক্ষা দেন। (বুখারি : ৫০২৭। রাসুল (সা.) এরশাদ করেন- তোমরা কুরআন তিলাওয়াত করো, কারণ, কোরআন কেয়ামতের দিন তিলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ করবে। (মুসলিম: ১৯১০)
রাসুল (সা.) এরশাদ করেন- কোরআনের বিষয়ে তোমাদের উপর অবশ্য পালনীয় এই যে, কোরআন শিক্ষা করা এবং তোমাদের সন্তানদের কোরআন শিক্ষা দেয়া। কেননা এ বিষয়ে তোমাদের জিজ্ঞাসা করা হবে এবং তার প্রতিদানও দেয়া হবে। (বুখারি : ৪৬)। কোরআন শিক্ষা এবং পাঠের প্রতি অবহেলা করা যাবে না।
আসুন রমজানকে কোরআনময় করি। কুরআন নাযিলের এই মহিমান্বিত মাসকে কুরআন পাঠ ও চর্চার মাধ্যমে কাটানোর চেষ্টা করি।
দ.ক.সিআর.২৫