কালনেত্র ডেস্ক
জাকাত ইসলামের মৌলিক স্তম্ভগুলোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি জিনিসের ওপর—এক. এই কথার সাক্ষ্য দেওয়া যে আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল, দুই. নামাজ প্রতিষ্ঠা করা, তিন. জাকাত প্রদান করা, চার. কাবাগৃহের হজ করা এবং পাঁচ. রমজান মাসে রোজা পালন করা।’ (সহিহ বুখারি)
জাকাত আদায়ের বহু ফজিলত ও উপকারিতা রয়েছে-
পরিপূর্ণ ঈমানের পরিচায়ক : জাকাত প্রদান ঈমান পরিপূর্ণ করার একটি মাধ্যম। যেমন—রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমার ইসলামের (ঈমান) পরিপূর্ণতা হলো তুমি তোমার সম্পদের জাকাত দাও। (আত-তারগিব ওআত-তারহিব)
আল্লাহর রহমত লাভ : জাকাতদাতার ওপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘এবং আমার রহমত সব কিছুকে পরিবেষ্টন করে, তাই আমি শিগগিরই তাদের জন্য নিয়ামতসমূহ লিখে দেব, যারা ভয় করে এবং জাকাত দেয়।’ (সুরা : আরাফ)
পক্ষান্তরে জাকাত দেওয়া বন্ধ করে দিলে আল্লাহ তাআলা বৃষ্টি দেওয়াও বন্ধ করে দেন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে জাতি তার মালের জাকাত দেওয়া বন্ধ করবে, সে জাতির জন্যই আকাশ থেকে বৃষ্টি বন্ধ করে দেওয়া হবে। যদি অন্যান্য প্রাণিকুল না থাকত, তাহলে তাদের জন্য আদৌ বৃষ্টি হতো না।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)
সফলতার পথ : জাকাতদাতা কামিয়াব ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত। পবিত্র কোরআনে সফল ব্যক্তিদের পরিচয় বর্ণনায় জাকাতকেও গণ্য করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘অবশ্যই সফলতা অর্জন করেছে মুমিনরা, যারা নিজেদের নামাজে বিনয় ও নম্র এবং যারা অনর্থক কথাবার্তায় নির্লিপ্ত আর যারা জাকাত দান করে থাকে।’ (সুরা মুমিনুন)
আল্লাহর সাহায্যের উপযুক্ত : যারা জাকাত দেয় আল্লাহ তাদের সাহায্য করেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আল্লাহ নিশ্চয়ই তাদের সাহায্য করবেন, যারা আল্লাহর সাহায্য করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী, শক্তিধর। তারা এমন লোক, যাদের আমি পৃথিবীতে ক্ষমতা দান করলে তারা নামাজ কায়েম করবে, জাকাত দেবে এবং সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ করবে। প্রতিটি কর্মের পরিণাম আল্লাহর এখতিয়ারভুক্ত। (সুরা : হজ)
দ.ক.সিআর.২৫